কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের ওপর হামলার (পুলিশ এসল্ট) অভিযোগে দলটির ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ৬০- ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুলাই) সকালে মামলাটি করেন সদর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ফজলুর রহমান।সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ গণমাধ্যমকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আসামিরা হলেন, জেলা যুবদলের সভাপতি খসরুজ্জামান শরীফ, জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম, পৌর বিএনপির সভাপতি আমিনুল ইসলাম আশফাক, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আলমাসুদ সুমন, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুজ্জামান পার্নেল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি মারুফ মিয়া, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক তরিকুজ্জামান পার্নেল, কেন্দ্রীয় যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবু নাসের সুমন, ছাত্রদল নেতা জুবায়ের ইসলাম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব বাছির উদ্দিন রিপন, জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ দেলোয়ার হোসেন দিলু, ছাত্রদল নেতা হাবিবুর রহমান ভূইয়া আলু, রাফিউল হোসেন নৌশাদ, আলামিন ভূইয়া, তাকবির উদ্দিন রাকিব, জাকির হোসেন রাজিব, তরিক মোমেন, শওকত হোসেন ও যুবদল নেতা অ্যাডভোকেট শাহারিয়া মুসা তানহা।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের রথখোলা এলাকায় বিএনপির পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।
ঘটনার পর বিএনপি নেতারা দাবি করেন, পুলিশ বিনা উসকানিতে তাদের পদযাত্রায় হামলা করেছে। পুলিশের হামলায় গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন।
ঘটনার বিষয়ে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মোস্তাক সরকার বলেছিলেন, বিএনপির পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি ছিল গুরুদয়াল সরকারি কলেজমাঠ থেকে রথখলা ময়দান পর্যন্ত। রথখলা ময়দান পার হয়ে সামনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছোড়েন। পরে পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পুলিশ। রাবার বুলেট, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
এ সংঘর্ষে ১৩ জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন সদর থানা ওসি। তাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে রয়েছেন।
উল্লেখ্য যে গতকাল বিএনপির জেলা সভাপতি শরীফুল আলম জানিয়েছিলেন তার দলের শতাধিক নেতাকর্মী পুলিশের অতর্কিত হামলায় আহত হয়েছিলেন বলে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।