1. admin@haortimes24.com : admin :
নওগাঁর মহাদেবপুরে পাঁচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন মেরামত প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম - হাওর টাইমস ২৪
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাব’র নতুন কমিটিঃ সভাপতি নজরুল-সম্পাদক আলী রহমান জিলাপি কান্ডে প্রত্যাহারকৃত ওসিকে পূনবহালের দাবিতে ইটনায় বিএনপির বিক্ষোভ! পিবিআই এর ৫ কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ার অডিও ভাইরালে ক্লোজড ইটনা থানার ওসি অডিও ভাইরালঃ ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ইটনার ওসি অষ্টগ্রামে ১৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার কটিয়াদীতে সাড়ে ৫ বছর পর স্বপদে বহাল প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ মাস ১১ দিন পর মিলল ২৮ বস্তা টাকা করিমগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত
শিরোনাম
অষ্টগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাব’র নতুন কমিটিঃ সভাপতি নজরুল-সম্পাদক আলী রহমান জিলাপি কান্ডে প্রত্যাহারকৃত ওসিকে পূনবহালের দাবিতে ইটনায় বিএনপির বিক্ষোভ! পিবিআই এর ৫ কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ার অডিও ভাইরালে ক্লোজড ইটনা থানার ওসি অডিও ভাইরালঃ ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ইটনার ওসি অষ্টগ্রামে ১৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার কটিয়াদীতে সাড়ে ৫ বছর পর স্বপদে বহাল প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ মাস ১১ দিন পর মিলল ২৮ বস্তা টাকা করিমগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

নওগাঁর মহাদেবপুরে পাঁচ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন মেরামত প্রকল্পে ব্যাপক অনিয়ম

  • প্রকাশ কাল শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪
  • ১৩৩ বার পঠিত হয়েছে

কাজী সামছুজ্জোহা মিলন,মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:

নওগাঁর মহাদেবপুরে বিদ্যালয় ভবন রঙ করার জন্য হার্ডওয়ার দোকান থেকে রঙ, বার্নিশ, শিরিশ কাগজ কেনা, দেয়ালের ছোট খাটো চটা ওঠা মেরামতের জন্য রড সিমেন্টের দোকান থেকে সিমেন্ট কেনা, বালি কেনা, মিস্ত্রি ও শ্রমিকের মজুরি দেয়ার মত প্রয়োজনীয় সবরকম ভাউচার সংগ্রহ করে দুই লক্ষ টাকা বিলের সাথে গেঁথে দিয়েছেন। প্রকল্পের শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে রিপোর্ট দিয়েছেন।

হিসাব রক্ষণ অফিস প্রকল্পের মূল বাজেট থেকে সে বিলের টাকা ছাড়ও করেছেন। কিন্তু বাস্তবে কিছুই কেনা হয়নি, মিস্ত্রি বা শ্রমিকের মজুরিও দেয়া হয়নি, বিদ্যালয় ভবন যেমন ছিল তেমনি আছে, কোন রকম মেরামতের কাজ শুরুই করা হয়নি। তারপরও কর্তৃপক্ষ বলছেন কোন অনিয়ম হয়নি।

এমন তোঘলকি কান্ড ঘটেছে নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসে। গত অর্থবছরে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি পিইডিপি-৪ প্রকল্পের আওতায় এই উপজেলার পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মেরামতের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে দুই লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করে। বিদ্যালয়গুলো হলো, খাজুর ইউনিয়নের খোর্দজয়পুর লতিফুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হরিরামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ভীমপুর ইউনিয়নের খোর্দনারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সফাপুর ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

প্রকল্পের বরাদ্দপত্র আসার পর উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে মেরামত কাজের এস্টিমেট করে দেয়া হয়। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিজ অর্থে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করে বিল দাখিল করলে, উপজেলা প্রকৌশলী প্রকল্প পরিদর্শন করে শতভাগ কাজ সম্পন্ন হবার প্রত্যয়ন দেয়ার পর ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের ব্যাংক হিবেসে বিলের সমুদয় টাকা স্থানান্তর করার কথা। কিন্তু গত ৩০ জুন পর্যন্ত শুধুমাত্র খোর্দজয়পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পেরেছে। বাঁকি চারটি স্কুলের কাজ শেষ না হলেও শতভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে বিল ভাউচার দাখিল করে বরাদ্দের টাকা অন্য একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা। তিনি জানান, নিয়মানুযায়ী ৩০ জুনের আগে ওই পাঁচটি প্রকল্পের বিল ভাউচার জমা দেয়ায় সরকারি ট্যাঙ্ কেটে রেখে প্রকল্পের সমুদয় টাকা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী তার নিজের একাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সরেজমিনে উপজেলার শিবরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে বিদ্যালয়ভবন মেরামতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এই ভবন আগে থেকেই রঙ করা আছে। নতুন করে রঙ করার কোন প্রয়োজন আছে বলে মনে হয়নি। প্রধান শিক্ষক দুলালী রাণী জানালেন, তিনি প্রকল্পের কাজ এখনো শুরু করতে পারেননি। কোন সামগ্রী না কিনে, মিস্ত্রি শ্রমিকের মজুরি না দিয়েই সেগুলোর ভূয়া ভাউচার কিভাবে দাখিল করলেন জানতে চাইলে তিনি সাবলিল ভাষায় বলেন, সবাই দিচ্ছে, তাই তিনিও দিয়েছেন। অন্যথায় ৩০ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় প্রকল্পের টাকা ফেরৎ যেতো। একজন কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষিকা হিসেবে কাজ শুরু না হলেও শতভাগ সমাপ্তির মিথ্যা রিপোর্ট ও ভূয়া ভাউচার দাখিল করা কতটা অমানবিক তার কোন সদুত্তর তিনি দিতে পারেননি।

এদিন গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়,বিদ্যালয় ভবনের কিছু কিছু অংশে নতুন রঙ করা হয়েছে। দেয়ালে বিভিন্ন ছবি আঁকা হয়েছে। ছবিগুলো বাস্তবের সাথে কোন মিল নেই। এখানে একটি নদীর ছবিতে শাপলা ফুল আর হাঁসের ছবির সাথে হাতির ছবি ছাপা হয়েছে, যা দেখে শিশু শিক্ষার্থীদের মনে হতে পারে যে, হাতিও একটি জলজ প্রাণি। প্রধান শিক্ষিকা মিলনা রাণী জানালেন, প্রকল্পের কাজ এখনও শেষ করতে পারেননি। তিনি স্বীকার করেন যে, প্রকল্পের কাজের জন্য যেসব ভাউচার দাখিল করেছেন সেগুলো সঠিক নয়। কিন্তু ৩০ জুনের মধ্যে ভাউচার দাখিল না করলে বরাদ্দের টাকা ল্যাফ্‌স হয়ে যাবে জন্য তিনি ওইসব ভাউচার দাখিল করেছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খোর্দনারায়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হরিনামনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেরামত কাজ শেষ না হলেও ভূয়া ভাউচার দাখিল করা হয়েছে।

বিদ্যালয় ভবন গুলো মেরামতের জন্য প্রকল্পের অর্থ বরাদ্দ করা হলেও সামান্য ঘষামাজা আর রঙ করা নিয়েও কথা উঠেছে। ভবনগুলোতে আগের করা রঙই ভালো আছে। তার উপর রঙ লাগানোর তেমন কোন প্রয়োজন না থাকলেও সামান্য রঙ করে প্রকল্পের অর্থ ভাগবাটোয়ারা করে নেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

জানতে চাইলে এই প্রকল্পের এস্টিমেট তৈরি ও দেখভালের দায়িত্বে থাকা উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয়ের সার্ভেয়ার আশিকুর রহমান জানান, নিয়মানুযায়ী বাজারদরের সাথে সঙ্গতি রেখে প্রকল্পের এস্টিমেট তৈরি করা হয়েছে। শুধুমাত্র খোর্দজয়পুরে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হওয়ায় প্রত্যয়ন দেয়া হয়েছে। অন্য চারটি বিদ্যালয়ের কাজ শেষ হলে পরিদর্শন শেষে প্রত্যয়ন দেয়া হবে।

বিষয়গুলো জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সাফিয়া আকতার অপু স্পষ্ট ভাষায় জানান, প্রকল্পের কাজে কোন অনিয়ম করা হয়নি। বছরের পর বছর ধরে যেভাবে হয়ে আসছে, এবারও সেভাবেই করা হয়েছে। তিনি জানান, চারটি বিদ্যালয়ের কাজ শেষ না হওয়ায় ৩০ জুনের আগে প্রকল্পের টাকা ভাউচার দিয়ে তার নিজের একাউন্টে নিয়ে রেখেছেন। যেদিন কাজ শেষ হবে, উপজেলা প্রকৌশলী প্রত্যয়ন দিবেন, তখনই ওইসব বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের হিসাব নম্বরে টাকা দেয়া হবে। বিষয়টা বছর শেষে ডিসেম্বর মাসে পরীক্ষা না দিলেও তাকে পাশ দেখিয়ে পরে যেকোন সময় পরীক্ষা দিয়ে পাশ করলেই চলবে এরকম কিনা তা নিয়ে তিনি কোন কথা বলতে পারেননি। নিয়মানুযায়ী প্রকল্পের টাকা সরাসরি প্রধান শিক্ষকদের হিসাব নম্বরে না দিয়ে তার নিজের ব্যাংক হিসেবে রাখাটাও বেআইনী হয়নি বলেও দাবি করেন এই শিক্ষা কর্মকর্তা।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।

Site Customized By NewsTech.Com

প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST