বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ভারতের আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা, ভাঙচুর, ফ্ল্যাগ স্ট্যান্ড ভেঙে বাংলাদেশের মর্যাদার প্রতীক জাতীয় পতাকা খুলে নিয়ে পোড়ানোসহ বাংলাদেশের সীমান্ত লাগোয়া কয়েকটি স্থানে ভারতীয় বিভিন্ন সংগঠনের বিক্ষোভ ও গণমাধ্যমজুড়ে অপপ্রচারসহ বাংলাদেশবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দেয়া হচ্ছে । এসব ন্যক্কারজনক কর্মকাণ্ডকে সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলক আখ্যা দিয়ে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে “জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম”র কেন্দ্রীয় কমিটি।
গতকাল বুধবার (৪ ডিসেম্বর) “জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরাম”র সভাপতি ছড়াকার আবু সালেহ ও মহাসচিব সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান এক যুক্ত বিবৃতিতে ভারতের এসব ন্যাক্কারজনক হামলা ও উদ্দ্যেশ্য মূলক অপপ্রচারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে তারা বলেন, বাংলাদেশের কোথাও হিন্দুদের মন্দিরে হামলা হয়নি। শতউসকানি সত্ত্বেও আমাদের বাংলাদেশের মানুষ সব সময় সহ- অবস্থানে শতভাগ বিশ্বাসী। বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীন দেশে একে অন্যের ধর্মের প্রতি সমান ও শ্রদ্ধাশীল। এ দেশে সব মানুষের সমান অধিকার প্রশ্নাতীতভাবে বিদ্যমান।
বাংলাদেশের মানুষ আবহমানকাল থেকে বাধাহীনভাবে পরস্পরের ধর্ম পালন করে আসছে।
জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের নেতারা আগরতলাস্থ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে বর্বরোচিত হামলা ও ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান। ভবিষ্যতে এমন উদ্ভট ও অবান্তর বিষয় নিয়ে উদ্দেশ্যমূলকভাবে পানি ঘোলা না করার আহ্বান জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতিসংঘের কাছে বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানো প্রসঙ্গে দেওয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের নেতৃদ্বয় বলেন, ভারতের মুসলমানদের ওপর যখন হামলা হয়, গরুর গোশত বহন করায় নির্বিচারে পিটিয়ে হত্যা করা হয় তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়রা তো প্রতিবাদ করেন না। আর অসত্য বিষয় নিয়ে তিনি মামার বাড়ির আবদার করছেন। বরং কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।