নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের মিটামইন উপজেলাধীন গোপদিঘী ইউনিয়নের ধলাই বগাদিয়া বাজারে সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর ফারুকের বাজার ও বাজার সংলগ্ন ১ একর ৭৩ শতাংশ জায়গা ও বাজারের ঘর জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে এমপিও ভূক্ত ভৌতিক ভ্রাম্যমান শ্যামপুর দাখিল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে।
যাহা মৌজাঃ-মুশুরিয়া সাবেক থানা বাজিতপুর হালে মিটামইন থানা সাবেক দাগ নং১,২,৩,৪,৯,২০,২১,
২২। মোহাম্মদ ওমর ফারুক কিশোরগঞ্জ জেলা জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার সাবেক শিক্ষা ও জনকল্যাণ সম্পাদক ছিলেন ।
বর্তমানে তিনি একটি দৈনিক পত্রিকার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার। অনুসন্ধানে জানা যায় ১৯৯৯ ইং সালে শ্যামপুর গ্রামের জজ মিয়ার দান করা ১০০ শতাংশ জায়গাতে প্রতিষ্ঠিত হয় শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসা। ২০১০ সালে এম,পিও ভুক্তির পর সভাপতি জজ মিয়ার কাছে আয় ব্যয়ের হিসেব ও সার্টিফিকেট বানিজ্য বন্ধ ও দূর্নীতি করতে অসম্মতি জানালে সুপার আমিনুল হক ও সভাপতি জজ মিয়ার মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
বিরোধের জের ধরে ২০১১সালের পহেলা জানুয়ারী রাতের আধারে সুপার আমিনুল মাদ্রাসার যাবতীয় কাগজপত্র নিয়ে তার নিজ গ্রামের বাজার ধলাই বগাদিয়া বাজারে ভিটি ভাড়া করেন এবং অফিস হিসেবে ধলাই বগাদিয়া একতা সংসদ কার্যালয়কে অনৈতিকভাবে ব্যবহার করেন। রাতারাতি মাদ্রাসার পরিচালনা কমিটি বাতিল করে সুপারের নিজের লোকদিয়ে এডহক কমিটি গঠন করে।
সকল শিক্ষকগনকে ধলাই বগাদিয়া বাজারে ক্লাস করাতে বাধ্য করে। প্রথম শ্রেনী থেকে দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য নামকা ওয়াস্তে দুই চারটি টিনসেড কোঠা তৈরি করে ক্লাস চালাতে থাকে। মাদ্রাসার প্রকৃত ভূমি শ্যামপুর ও ধলাই বগাদিয়া বাজার একই মৌজা ভূক্ত হওয়ায় ২০১২ সালে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক পাঠদানের অস্থায়ী অনুমতি নেয়।
তার পরেও বিগত ১২ বছরে ৬ বার জায়গা বদল হয়েছে মাদ্রাসাটির।
এলাকার সচেতন মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এহেন অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলে কিশোরগঞ্জ থেকে দেশ টিভি, ৭১ টিভি, বাংলা ভিশন সাংবাদিকদের নিয়ে সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর ফারুক তার নিজ এলাকা ধলাই বগাদিয়া আসেন ২০২০ সালের ২২ নভেম্বর।পরে দেশ টিভিতে সংবাদ প্রচার হলে সুপার আমিনুল হক মোহাম্মদ ওমর ফারুকের প্রতি ক্ষীপ্ত হয়ে থাকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয় । পরবর্তীতে ঢাকা টাইমস,সারা বেলাসহ অনেক মিডিয়াতে নিয়মিত খবর আসতে থাকলে বিষয়টি এলাকার সাংসদ রেজুয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপির নজরে আসলে বিগত ১১/০৪/২০২১ ইং সালে এমপি মহোদয় ,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিপুল সংখ্যক মানুষ নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করে শ্যামপুর গ্রামের ১০০ শতাংশ ভুমিতে মাদ্রাসা ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন।
তথাপিও সুচতুর সুপার আমিনুল হক মাদ্রাসাটি শ্যামপুর না নিয়ে ধলাই হাওরে স্থাপনের উদ্দেশ্যে বিগত ৮ /০৯/ ২০২২ ইং তিনটি নামে মাত্র টিনের ঘর উঠায় (পরিসংখ্যানে ৬ তম জায়গা )।এর একদিন পরই শ্যামপুর গ্রামবাসী ধলাই হাওড় থেকে ঘর উঠিয়ে শ্যামপুর গ্রামে স্থাপন করে এমপি’র পূর্বের নির্দেশ বাস্তবায়ন করে।
বিগত ১০/০৯/২০২২ ইং সুপার আমিনুল বাদী হয়ে ৮২ জন ও অজ্ঞাতনামা শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে মিটামইন থানায় মামলা করেন, যাহার নং ০৬।
১৯/০৯/২০২২ইং সোমবার মোহাম্মদ ওমর ফারুকের জায়গাতে সকল শিক্ষক ও কয়েকজন ছাত্রকে অবস্থান নিতে দেখা গেছে সহ সুপার মাওঃ সালাহউদ্দিন ও উস্তাদ মোজাম্মেল হককে এই জায়গায় অবস্থানের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে মাদ্রাসা সভাপতি ও সুপারের নির্দেশ ক্রমে এখানে আছে বলে জানান।
সুপার আমিনুল হকের মোবাইল ফোন রিসিভ না করার কারনে তাকে পাওয়া যায়নি। গোপদিঘী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ল্ড মেম্বার সুমন মিয়ার সাথে কথা বলে বুঝা গেলো মোহাম্মদ ওমর ফারুকের জায়গায় জবর দখল করে অবস্থান নেয়া মাদ্রাসা সুপার ও সভাপতির দুরভিসন্ধি মূলক,ষড়যন্ত্রের অংশ হতে পারে।
সাংবাদিক মোহাম্মদ ওমর ফারুক এর কাছে এই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মাদ্রাসাটি ৬ বার জায়গা পরিবর্তন করে কোথাও সুবিধা করতে না পারায় অবশেষে ৭ম বারের মতো আমার পরিত্যক্ত ঘর ও জায়গাতে সভাপতির নির্দেশে জবর দখল করে মাদ্রাসা সুপার ও তার সহযোগীরা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নীল নকশা তৈরি করছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।