নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার ঘাগড়া বাজারের পাশের জায়গার মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে। সিহাড়া গ্রামের হাজেরা খাতুন গং দাবী করছেন এই জায়গার মালিক তারা। অপরদিকে ঘাগড়া গ্রামের নজরুল শেখ ও তার লোকজন ওই জায়গার মালিকানা দাবী করে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। এই নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অভিযোগ করা হলে স্থানীয় প্রশাসন উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে ঘাগড়া মৌজার আরএস খতিয়ান নাম্বার ২১৮ দাগ নাম্বার ১২৫২/১২৬৯/১২৭০ এর মালিক দুর্গাপুর গ্রামের আলী আমজাদ গং । ঘাগড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন আহমেদের স্ত্রী হাজার খাতুন ও তার ছেলে আলামিন, ডাক্তার শাহ আলম সহ আরো কয়েকজন আর এস এর মালিকের ওয়ারিশদারদের কাছ থেকে দলিল মূলে জায়গার মালিক হন।
অপরদিকে ঘাগড়া গ্রামের শেখ নজরুল ইসলাম গং এই জায়গার মালিকানা দাবী করছেন। ২০২০ সালে মশিউর রহমান ভূঁইয়া ও শেখ নজরুল গং বাদী হয়ে মিঠামইন সহকারী জজ আদালতে মোকদ্দমা দায়ের করেন। মোকদ্দমা নাম্বার ২৬৫/২০২১অন্য।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে বাদীর গড় হাজিরার কারনে তাদের মুকাদ্দমাটি বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেন। সম্প্রতি হাজেরা খাতুন তার মালিকানা জায়গাতে মাটি ভরাট কাজ শুরু করলে শেখ নজরুল ইসলামের লোকজন ওই জায়গাতে জোর করে ঘর নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। হাজেরা খাতুন এই প্রতিবেদককে জানান শেখ নজরুল দাঙ্গা প্রকৃতির লোক। তারা আমার কাছ থেকে জায়গার মালিকানা দাবী করে ১০ লাখ টাকা দাবী করেন বলে অভিযোগ আনেন।
শেখ নজরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান চাঁদা দাবীর অভিযোগটি সত্য না। তাদেরকে ঘায়েল করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে শেখ নজরুল ইসলাম গংদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশে আজ ২৮/১২/ ২০২৪ তারিখে মিঠামইন থানা পুলিশ ওই জায়গার ওপর তদন্তের পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকে বলা হয়েছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।