এম.আর রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকা ভৈরব প্রান্ত থেকে ১৫/১৬ জন দর্শনার্থী নিয়ে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরভ্রমণ শেষে ভৈরবে ফেরার পথে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার দিকে বাল্কহেডের ধাক্কায় সুন্দরবন নামক
পর্যটকবাহী নৌকা মেঘনা নদীতে ডুবে যায়। এঘটনায় অজ্ঞাত নামা একজন মহিলা নিহত হন এবং এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়। এছাড়াও নৌকা ডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জন নিখোঁজ রয়েছেন। এঘটনা নিশ্চিত করেছেন নৌ পুলিশ কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের এএসপি হুমায়ুন কবীর আকন্দ।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে ভৈরব সেতু এলাকা মেঘনা নদীর পাড় থেকে ১৬ জন যাত্রী নিয়ে আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে ঘুরতে যায়। সেখান থেকে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টার দিকে ভৈরবে ফেরার পথে মাঝ নদীতে পর্যটনবাহী নৌকাটিকে একটি বাল্কহেড ধাক্কা দিলে নৌকাটি ডুবে যায়।
এসময় স্থানীয় লোকজন ও নৌ পুলিশ ৯/১০ জনকে উদ্ধার করেন। গুরুতর আহত অবস্থায় দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে অজ্ঞাত নামা একজন মহিলাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন এবং তোফাজ্জল হক (২২) নামের এক যুবককে আহত অবস্থায় ঢাকায় রেফার্ড করেছেন।
নিখোঁজের মধ্য যাদের পরিচয় পাওয়া গেছে তারা হলো ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল (৩০) এবং তার স্ত্রী আনিকা বেগম (২০) ও দুই সন্তান।
নিখোঁজ আনিকা বেগমের বাড়ী নরসিংদী জেলার বেলাব উপজেলার নারায়নপুর এলাকার দড়িকান্দি গ্রামে। এছাড়াও ভৈরব শহরের আমলাপাড়া গ্রামের বেনন দে, রুবা দে ও আরদে নিখোঁজ হন।
সুন্দরবন ভ্রমণতরীর মালিক নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘ বিশ বছর ধরে ভৈরব থেকে আশুগঞ্জ চরে যাত্রী পারাপার করেন।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনারামপুর চর থেকে ভৈরব ব্রীজের নিচে ফেরার পথে একটি বাল্কহেড তার নৌকায় পিছনে ধাক্কা দিলে মাঝ নদীতে ১৬জন যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবে যায়।
ভৈরব হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সাজু মিঞা জানান, নৌকা ডুবির ঘটনায় ভৈরব হাইওয়ে থানার কনস্টেবল সোহেল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে। ঘটনার পর ফায়ার সার্ভিস ও নৌ পুলিশ নদীতে ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করছে।
নৌ পুলিশ কিশোরগঞ্জ অঞ্চলের এএসপি হুমায়ুন কবীর আকন্দ জানান, মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ সোনারামপুর চরে থেকে পর্যটক বাহী নৌকা ভৈরবে আসার পথে বাল্কহেডের ধাক্কায় দিলে সুন্দরবন নামে ভ্রমণতরী ডুবে যায়। এ ঘটনায় হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল, তার স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ ৬ জন নিখোঁজ হয়।
এঘটনায় খবর পেয়ে নৌ পুলিশ নদী থেকে কয়েকজন যাত্রীকে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকৃতদের মধ্যে একজন মহিলা মারা গেছে। নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। নিখোঁজদের উদ্ধারের জন্য নৌ পুলিশ নদীতে রয়েছে। অভিযুক্ত বাল্কহেডটি আটকের জন্য পুলিশ চেষ্টা করছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।