ষ্টাফ রিপোর্টার :
এবার সকল নির্বাচনে পোষ্টার নিষিদ্ধ করার দাবী করে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন দিয়েছেন ভৈরব জাতীয় পার্টির নেতা ও সমাজকর্মী নুরুল কাদের সোহেল।
ভৈরব উপজেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং বিগত জাতীয় নির্বাচনে জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণকারী নুরুল কাদের সোহেল তার নির্বাচনী এলাকা ভৈরবে নানান সামাজিক অসঙ্গতি এবং জনগুরুত্ব সম্পন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা কিংবা প্রতিবাদের কারণে সকলের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
বৃহস্পতিবার (৭মার্চ) প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবর দেয়া আবেদনে তার নির্বাচনী অভিজ্ঞতার আলোকে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণায় সমতা ও বৈষম্য রোধে পোস্টার নিষিদ্ধ করা জরুরী প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন-সারা বছর একজন প্রকৃত রাজনীতিবিদ জনগণের দাবী-দাওয়া ও সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে রাজনীতিতে বিচরণ করে থাকায় ব্যবসায়ী বা অর্থবিত্তশালী হওয়ার সুযোগ থাকেনা। কিন্তু হঠাৎ কোন অর্থ বিক্তশালী লোক নির্বাচনে এসে তার পুরো নির্বাচনী এলাকায় পোস্টারে সয়লাব করে ফেলেন। কিন্তু আদর্শ ও সৎ রাজনীতিবিদ প্রতিযোগিতামুলক পোস্টার না লাগাতে পারার কারণে নির্বাচনে প্রার্থী হিসেব চরম বৈষম্যের শিকার হন।
আগামী উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুত হওয়ার প্রেক্ষিতে তিনি আরো বলেন- প্রভাবশালী প্রার্থীরা নিরীহ প্রার্থীদের পোষ্টার ছিঁড়ে ফেললেও নির্বাচনের পর প্রভাবশালী প্রার্থী দ্বারা নির্যাতনের ভয়ে প্রতিবাদ করেন না। শীতকালে পোষ্টার রাতে ঝুলিয়ে দিলে ভোরের কুয়াশায় ভিজে ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায়। ফলে অঢেল টাকার মালিকেরাই প্রতিদিন একবার করে পোষ্টার লাগাতে পারে। প্রকৃত রাজনীতিবদরা অর্থাভাবে প্রতিদিন লাখ লাখ পোস্টার লাগাতে পারেননা। পোস্টার মাটিতে পড়ে রাস্তার পরিবেশ নষ্ট হয়।
তিনি আরও বলেন, অনেক প্রার্থীরা পলিথিন ব্যবহার করেছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে বার বার বলা হলেও শুধু বলার মধ্যেই থেকে যায়, কার্যকারিতা আসেনা। ফলে নিষিদ্ধ পলিথিনে পরিবেশ নষ্ট হয়। পোষ্টারের কারণে কাগজের মূল্য বেড়ে যায়। ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্র- ছাত্রীদের বই-খাতার দাম বেড়ে যায় এবং বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য ও গবেষণামূলক গ্রন্থ প্রকাশে ব্যয় বহুল হওয়ায় বই লেখা ও পড়া থেকে জাতি বঞ্চিত হচ্ছে।
ফলে মেধাবী জাতি হওয়া থেকে আমরা পিছিয়ে পড়েছি। উন্নত দেশে এভাবে পোস্টারের নামে অপচয় হয়না।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।