কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় হত্যার চেষ্টা মামলার আসামিরা জামিনে এসে গুজাদিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের বর্তমান সভাপতি ইসলাম উদ্দিন মোল্লাকে হত্যার হমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন কৃষকদল নেতা ও তার পরিবারের লোকজন।
মামলা ও অন্যান্য সুত্রে জানা যায়, কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলার গুজাদিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম চরকরণশি গ্রামের মৃত মৌলভী মোন্তাজ উদ্দিনের ছেলে ইসলাম উদ্দিন মোল্লার সাথে একই এলাকার আ: ছালামের জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে।
সম্প্রতি গত ১০ এপ্রিল ইসলাম উদ্দিন মোল্লা তার জায়গা থেকে গাছ বিক্রি করেন। শ্রমিকরা গাছ কাটতে আসলে মোল্লার প্রতিপক্ষ আ: ছালাম ও তার ছেলে সাইফুল, রমজান, মুকসুদ আলীসহ আরো ৫/৬ জন সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় আ: ছালাম তার হাতে থাকা গামছা দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে মোল্লাকে হত্যার চেষ্টা করে। এ ঘটনায় কৃষকদল নেতা ইসলাম উদ্দিন মোল্লা বাদী হয়ে গত ১১ এপ্রিল করিমগঞ্জ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেন।
ইসলাম উদ্দিন মোল্লা জানান, আমি কৃষক দলের গুজাদিয়া ইউনিয়ন সভাপতি হওয়ার কারণে তাদের সাথে আমার রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব চলে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। এ ছাড়াও জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধ ছিলো তাদের সাথে। এসব ঘটনার জের ধরে আমাকে হত্যার চেষ্টা করায় করিমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করি। পরে আদালতে হাজির হয়ে জামিনে আসে আসামিরা। মামলায় জামিনে এসে আসামি রমজানসহ অন্যান্য আসামিরা আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে আমি এবং আমার পরিবারের লোকজন বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এ ব্যাপারে গাছের বেপারি আবুল কাশেম জানান, আসামিরা মামলায় জামিন নিয়ে এসে ইসলাম উদ্দিন মোল্লার বাড়িতে গিয়ে বিভিন্ন ভাবে গালিগালাজসহ হত্যার হমকি দিয়েছে।
করিমগঞ্জ উপজেলা কৃষক দলের সভাপতি ও জয়কা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ হারুন অর রশিদ জানান, ইসলাম উদ্দিন মোল্লা বর্তমানে গুজাদিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপিত। এ সময়ে তাকে ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যার হুমকি দেয়া খুবই দুঃখজনক। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
কিশোরগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবি দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সেকান্দর আহমেদ বলেন, বিষয়টির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আসামীরা জামিনে এসে হুমকি প্রদান বিষয়টিও দুঃসাহসিকও বটে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা করিমগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিরা জামিনে এসেছে। হত্য্যর হমকির দেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। এ রকম হলে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে গুজাদিয়া ইউনিয়নের চরকরণশি গ্রামের আঃ ছালামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
হুমকির ব্যাপারে গুজাদিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি ইসলাম উদ্দিন মোল্লা বলেন, আসামীরা খুব ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী ধরনের মানুষ, জামিনে এসে হুমকির কারণে পরিবার নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীন জীবন যাপন করছি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।