মোঃ নাদিরুজ্জামান আজমল, হাওর প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় কৃষক দলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে মুলমঞ্চে যুবদলের দুই নেতার মধ্যে প্রকাশ্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে এবং স্থানীয়ভাবে বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
গতকাল শনিবার (১৯ জুলাই) বিকেলে ইটনা কলেজ মাঠে আয়োজিত সম্মেলনে অতিথিদের বক্তব্য চলাকালীন এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. সালাউদ্দিন মঞ্চে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় অপর এক যুবদল নেতা বক্তব্যে বাধা দিলে দুজনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়, যা একপর্যায়ে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত নেতাকর্মীরা দ্রুত হস্তক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
উল্লেখ্য যে, এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন- অষ্টগ্রাম) আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি বীরমুক্তিযোদ্ধা এ্যাড. ফজলুর রহমান।
সভাপতিত্ব করেন ইটনা উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. হাবিবুল হান্নান এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব মাহফুজুর রহমান মাফুজ।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও ফজলুর রহমানের স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা।
প্রধান বক্তা ছিলেন কৃষক দলের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান মিল্কী এবং সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মাজহারুল ইসলাম।
এই ঘটনার পর স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, এর আগেও মাত্র কয়েকদিন আগে গত ১১ জুলাই অষ্টগ্রাম রিপোর্টার্স ক্লাবের পরিচিতি সভায়ও ফজলুর রহমানের উপস্থিতিতে তার অনুসারী দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। টানা দুইটি অনুষ্ঠানে এমন অস্থিরতা অনেকের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা তৈরির পাশাপাশি বিএনপির ইমেজ ক্ষুন্ন হচ্ছে বলে অনেকে মনে করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন রশিকতার চলে হাওর টাইমসকে বলেন যে নেতাকে তারেক রহমান ফোন দিতে ভয় পায়। মিজাজ বুঝে ফোন দিতে হয়।সেই নেতার উপস্থিতিতে সাধারণ যুবদল নেতারা ভয় পায় না! তাজ্জব ব্যাপার তাহলে!
রাজনৈতিক শৃঙ্খলার প্রশ্নে দলের ভেতরের এই অস্থিরতা বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বের জন্য একটি বড় অশনি বার্তা বহন করছে বলে মত বিশ্লেষকদের।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।