নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
দেশে চলমান ষষ্ঠ জাতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তৃতীয় ধাপের ভোটগ্রহণ আগামী ২৯ মে। তাই সারাদেশের ন্যায় কিশোরগঞ্জের সর্ববৃহৎ হাওর বেষ্টিত ইটনা উপজেলায় ভোটের মাঠে চলছে বিভিন্ন সমীকরণ।
চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থী তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা, মিটিং, মিছিল, পথ সভা, উঠান বৈঠক, গনসংযোগ, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে প্রচার প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছে।
ভোটের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই উপজেলার জনসাধারণের মধ্যে বাড়ছে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে প্রচার প্রচারণা। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বি ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীদের মধ্যে এবারও এগিয়ে সুবিধাজনক এগিয়ে আছেন দুইবারের নির্বাচিত ইটনা উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান।
৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে যে ৫ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে সরব প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে কাপ পিরিচ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুইবারের সফল উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী কামরুল হাসান।
ইটনা উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ভোটের মাঠে প্রচার-প্রচারণায় উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে প্রার্থীদের পোস্টার- ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের প্রচারণা। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে চলছে প্রার্থীদের গণসংযোগ ও পথসভা।
চায়ের টেবিল থেকে শুরু করে সর্বত্র এখন নির্বাচনের ভোট নিয়ে আলোচনা। প্রার্থী ও তাদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের মন জয়ের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। সবদিক থেকে চৌধুরী কামরুল হাসানের কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী অনেক এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ভোটাররা। তারা বলছেন যদি ভোট হয় তাহলে অনেক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন তিনি।
ভোটারদের একজন নাম না প্রকাশ করার শর্তে মন্তব্য করে বলেন, মূলত এটা বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ্যাড.ফজলুর রহমানের জন্মভূমি। ফলে এখানে ইতিপূর্বে যতটা জনসম্পৃক্ত সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে তার মনোনীত প্রার্থীই পাশ করেছে। যেহেতু বিএনপি এই নির্বাচন বয়কট করেছে এবং চৌধুরী কামরুল হাসান’র চেয়ে জনপ্রিয় কোন প্রার্থীও নেই তাই সব মিলিয়ে এবারও তিনিই বিজয়ী হওয়া স্বাভাবিক।
এ ব্যাপারে এলংজুরী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস বলেন, এই মুহূর্তে চেয়ারম্যান প্রার্থী যারা আছেন সবদিক বিবেচনা করলে চৌধুরী কামরুল হাসান এর কোন বিকল্প নেই। উপজেলার সব শ্রেণীর মানুষের সাথে তার রয়েছে ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা। এছাড়াও তিনি ইটনা কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল ছিলেন। সেই হিসেবেও প্রচুর সংখ্যক ছাত্র ছাত্রী তাঁর সমর্থনে রয়েছে।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে চৌধুরী কামরুল হাসান বলেন, আমি ইটনাবাসীর জন্য সব সময় নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাচ্ছি। ইটনার মানুষ আমাকে ভালোবাসে ইতিপূর্বে দুইবার উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছেন। আমিও তাদের পাশে ছিলাম থাকবো। এবারও উপজেলাবাসীর ইচ্ছে পূরণ করার জন্য আমি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। আমি সময় উপযোগী কৃষি বান্ধব ইশতেহার দেব।
উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মাঠে আছেন চৌধুরী কামরুল হাসান (কাপ পিরিচ), এড: খলিলুর রহমান (আনারস), এড: আবুল কাউসার খান মিল্কী (মোটর সাইকেল), মো: ফেরদৌস ঠাকুর (টেলিফোন), ফজলুর রহমান (ঘোড়া) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) প্রার্থী হিসেবে অরুন কুমার ঘোষ (টিয়া পাখি), শওকত হোসেন মীর জালাল (উড়োজাহাজ), মোঃ আল ইমরান (চশমা), শাখাওয়াত হোসেন (মাইক), মুর্শেদ খন্দকার (টিউবওয়েল) এবং সিব্বির মাহমুদ (তালা) প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মোছাঃ রোজি (কলস), হাজেরা বেগম (ফুটবল) এবং মাহমুদা আক্তার রানা (হাঁস) মার্কায় নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২৯ মে অনুষ্ঠিত হবে ইটনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। ইটনাতে ৫৭টি ভোটকেন্দ্রে ৩৪৬ টি ভোট কক্ষে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৫০২ জন ভোটার তাদের ভোট দিবেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।