মোহাম্মদ খলিলুর রহমানঃ
দেশে এই মুহূর্তে ‘জাতীয় ঐক্য’ সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে দাবি করেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক সৈয়দ এহসানুল হুদা। তিনি বলেছেন, স্বৈরাচারের পতন হয়েছে ঠিকই, কিন্তু এখনো ষড়যন্ত্র বিস্তৃত। পতিত স্বৈরাচারের ষড়যন্ত্রে দেশে নানা ধরনের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টির অপচেষ্টা চলছে। আমরা মনে করি, দীর্ঘদিন লড়াই করে বহু সাথীর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত পরিবর্তনকে সুরক্ষা এবং গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আন্দোলনরত সকল সংগঠনের জাতীয় ঐক্য আরও সুদৃঢ় করা দরকার। এই জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমেই আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাব।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলার কারপাশা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে অনুষ্ঠিত ‘৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস এবং গণতন্ত্র উত্তরণে নবদিগন্তের সূচনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এহসানুল হুদা বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন- দেশে সংস্কার কার্যক্রম প্রয়োজন, এটা প্রথম বিএনপি উপলব্ধি করেছে এবং ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব জাতির সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত প্রয়োজনীয় সংস্কার সাধন করে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে এটাই দেশবাসীর চাওয়া।
তিনি আরো বলেন, ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস জাতির জীবনে একটি মহান ও অতীব মর্যাদাময় বিজয়ের দিন। এই দিনে আধিপত্যবাদী শক্তির পরাজয় ঘটে। ক্যান্টনমেন্টের নিজ বাসায় গৃহবন্দী সেনা প্রধান জিয়াউর রহমানকে সিপাহী জনতা স্বতঃস্ফূর্ত অভ্যুত্থান ঘটিয়ে মুক্ত করে আনেন।
৭ নভেম্বরের অবিনাশী চেতনায় উজ্জীবিত বাংলাদেশ আধিপত্যবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে চির জাগ্রত থাকবে। অনেক রক্ত ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে যেকোনো মূল্যে ধরে রাখতে হবে সংহত করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সংস্কারের মাধ্যমে গণতন্ত্রের ভিত্তিকে মজবুত করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের হাত ধরে ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ জাতি ভয়াবহ নৈরাজ্য ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়া থেকে দেশ রক্ষা পায়। জাতি ফিরে পায় গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারায়।
শহীদ জিয়াউর রহমান বাকশালী স্বৈরতন্ত্র থেকে গণতন্ত্র বাক- ব্যক্তি ও সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা ফিরিযে এনেছেন, খালকাটা বিপ্লব করে দেশের কৃষিকে সমৃদ্ধির শিখরে এগিয়ে নিয়েছেন। তার সময়ে দেশে উন্নয়নের ধারা সৃষ্টি হয়। আওয়ামী লীগ দেশ স্বাধীন হওয়ার সাড়ে তিনবছরের মধ্যে গণতন্ত্র বাক- স্বাধীনতা হরণ করে দেশের সব পত্রিকা নিষিদ্ধ করে একদলীয় বাকশাল শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিল। একইভাবে শেখ হাসিনার শাসন ব্যবস্থা ছিল বাকশালের দ্বিতীয় সংস্করণ। তিনি বলেন স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে ঠিকই কিন্তু এখনো ষড়যন্ত্র বিস্তৃত এই মুহূর্তে সবচেয়ে প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য এবং জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে আমরা জনগণের আকাঙ্ক্ষার স্বপ্নের বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে যাব।
আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কিশোরগঞ্জ যুবদলের অন্যতম সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহ আলম, যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাসিমুল হক, নিকলী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম লিটন, বাজিতপুর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক, আশরাফুল আলম আশরাফ, বাজিতপুর উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনিসুর রহমান খোকন ও বাজিতপুর উপজেলার যুগ্ম যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহেল মাহমুদ, বাজিতপুর পৌর যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক তানভিরুল হক খান সোহেল, কারপাশা ইউনিয়ন বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক সিরাজ উদ্দিন ও ইকবাল হোসেন, কারপাশা ইউনিয়ন বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম, সোলাইমান মেম্বার লাল মিয়া প্রমুখ।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।