কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৯তম জন্মদিন ও ‘শেখ রাসেল দিবস
যথাযোগ্য মর্যাদায় কিশোরগঞ্জেও পালিত হয়েছে ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জেলা প্রশাসনের দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০.০০ ঘটিকায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানের সাথে সরাসরি সংযুক্তি, কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং বেলা ২.০০ ঘটিকা হতে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এ সকল কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং সভাপতিত্ব করেন কিশোরগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শামীম আলম।
শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্যে এমপি লিপি বলেন,শেখ রাসেল আমার ছোট্ট বেলার খেলার সাথী। এ কথাটি আমি রাসেলের প্রসঙ্গ যখনই আসে তখন সব সমই উল্লেখ করি। কারণ এ ঘটনাটি আমার জীবনের শ্রেষ্ঠেতম ঘটনা ছিল। শ্রেষ্ঠতম একটি দিন ছিল। সেটি ১৯৭০ সালে একদিন আমার বাবা বলেছিলেন, চলো আমরা আমার নেতার কাছে যাবো। আমরা সবাই গাড়ি করে গেলাম সেই যায়গাটির নাম টাঙ্গাইল মধুপুরের জঙ্গলের ভিতর। সেখানে আমি প্রথম জাতির জনককে সামনে থেকে দেখতে পেলাম, বঙ্গমাতাকে সামনে থেকে দেখতে পেলাম। আর দেখতে পেলাম ছোট্ট একটি শিশু শেখ রাসেলকে। যে আমাদের সমবয়সী ছিলো। এসময় আমার বাবা ও মা সবাই ব্যস্থ হয়ে পড়লেন। তখন আমাকে ও আমার ছোট বোনকে ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল হাত ইশারা করে ডাকছে। আমরা তখন তার কাছে গেলাম। সে জঙ্গলের বিভিন্ন গাছ ও নানা পশু পাখি দেখালো আমাদেরকে। আমরাও খুশি মনে ঘুরে ঘুরে দেখলাম।
এক পর্যায়ে ছোট্ট রাসেল আমাদের হাতে হাতে একটি করে ছোট্ পতাকা ধরিয়ে দিলো। সে সামনে আর আমরা তার পেছনে । সে শ্লোগান দিলো জয় বাংলা আমরাও তার পেছন পেছন জয় বাংলা শ্লোগান ধরলাম।
তিনি বলেন, ছোট্ট বেলা থেকেই আমি বড় হয়েছি বঙ্গবন্ধুর ছবি দেখে আর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর ছবি দেখে। তখন থেকেই জানতাম তারা আমার বাবার নেতা। যখন আমি সক্রিয় রাজনীতিতে আসলাম অনেকেই আমাকে প্রশ্ন করেছেন যে, আমার রাজনীতির হাতেখড়ি কিভাবে। আমার তো জন্মই রাজনীতিতে। রাজনৈতিক পরিবারে।
এখানে তো নতুন করে হাতেখড়ির প্রশ্নই আসে না। কিন্তু তার পর ও ছোটবেলায় যার সান্নিধ্যে এসে উপলব্দি করলাম সে ছিলো ছোট্ট শেখ রাসেল।
উপরোক্ত কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ রাসেল শেখ, পিপিএম (বার), পুলিশ সুপার, কিশোরগঞ্জ, ডা. সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন, কিশোরগঞ্জ, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ শাখা, জনাব মামুন আল মাসুদ খান, চেয়ারম্যান, কিশোরগঞ্জ সদর, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আসাদ উল্লাহ, সাবেক কমান্ডার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কিশোরগঞ্জ জেলা ইউনিট কমান্ড, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ ও সাংবাদিকবৃন্দ।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।