নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

কৃষকরা বাংলাদেশের প্রাণ। তাই তাদের অবদান স্মরণ রাখতে হবে সবসময়। সরকারও কৃষক ভাইদের নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। এই সৌহার্দ্য অব্যাহত থাকলে অচিরেই আমাদের দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে। অতীতে নানা কারণে ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হতো না। এবার যেকোনো মূল্যে ধান চাল ক্রয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে সরকার।কিশোরগঞ্জে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম উদ্বোধন এসব কথা বলেন খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান।

আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার এলএসডি খাদ্য গোদাম প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন ও খাদ্য বিভাগ, কিশোরগঞ্জ এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

প্রধান অতিথি হিসেবে অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুভ উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ সরকারের খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মাসুদুল হাসান।

মিঠামইন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সভাপতি, অভ্যন্তরীণ বোরো ধান সংগ্রহ ও মনিটরিং কমিটি মিঠামইন খান মো. আবদুল্লাহ আল মামুন এর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুরাইয়া খাতুন, কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, কিশোরগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ- পরিচালক ড. সাদিকুর রহমান, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান মোল্লা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বাজিতপুর সার্কেল) সত্যজিৎ ঘোষ, মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম, কিশোরগঞ্জ সংরক্ষণ ও চলাচল কর্মকর্তা মুহাম্মদ শাহীন আফজল, মিঠামইন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আইরিন আক্তার প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান নমুনা শস্য কর্তনের অংশ হিসেবে মিঠামইন উপজেলার মহিষারকান্দি হাওরে গিয়ে নিজে হারভেস্টার মেশিন দিয়ে কিছুক্ষণ ধান কাটেন। পরে কৃষকদের সাথেও কাস্তে নিয়ে প্রকট রোদের মধ্যেও ধানকাটায় যোগ দেন তিনি। ধান কাটায় তার সাথে কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় খাদ্য সচিব মো. মাসুদুল হাসান বলেন, কৃষক যাতে ন্যায্য মূল্য পায় সেদিক বিবেচনা করে সরকার ধান, চালের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে। কৃষকের নিরলস শ্রমে এবার হাওরসহ সারা দেশেবোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে।