স্টাফ রিপোর্টারঃ
বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের অভিযোগে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস সাকিবের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল -৮ ঢাকায় এ মামলা করেন এক ভুক্তভোগী নারী মুক্তা আক্তার। ওই দিনই নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৮ এর বিজ্ঞ বিচারক মো. শওকত আলী শাহবাগ থানা পুলিশকে মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে এফআইআরভুক্তের আদেশ দেন।
এদিকে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব বলেন, ওই নারীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। ফেসবুক গ্রুপ থেকে তাকে চিনতাম কিন্তু তার সঙ্গে কোনো দিন আমার দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। তাকে আমি চিনিও না। যেহেতু আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে আমি আইনিভাবে লড়ব, সুষ্ঠু তদন্ত হলে ঘটনার সত্যতা উদঘাটন হবে। আমি আশা করছি আমি যেহেতু কোন অপরাধ করেনি আমি ন্যায় বিচার পাবো।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিগত ২০২৩ সালের জুনে পাত্রী চেয়ে একটি ফেসবুক গ্রুপে পোস্ট করার পর ওই ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে অভিযুক্ত এএসপি সার্কেল নাজমুস সাকিবের পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে।
বাদী ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, অভিযুক্ত আসামি নাজমুস সাকিব তার পূর্ববর্তী বিয়ে ও সন্তান থাকার বিষয়টি গোপন রেখে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন। বিয়ের প্রলোভনে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন তাঁর সঙ্গে। তাদের উভয় পরিবারের লোকজন বিষয়টি জানতেন এবং বাসায় আসা যাওয়া ছিলো।
গত ৪ এপ্রিল সর্বশেষ ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্তের বাসায় অবস্থান করার সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি ও প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হন। শারীরিক মেলামেশার পর একপর্যায়ে ওই নারী জানতে পারে, অভিযুক্ত এএসপি ভৈরব সার্কেল নাজমুস সাকিব ইতোমধ্যে অন্য একজন নারীকে বিয়ে করেছেন।
এসব বিষয়ে অভিযুক্তের সাথে কথা হলে ওই নারীকে তখন বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান এবং নানা রকম ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি দেন যেন মামলা করতে না পারে।
উল্লেখ্য, ভৈরব-কুলিয়ারচর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) নাজমুস শাকিব এই মামলার আগেও তার প্রথম স্ত্রীর দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় কারা বরণ করেছেন এবং বর্তমানে তার বিরুদ্ধে বেশকিছু মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে সহকারী পুলিশ সুপার নাজমুস সাকিব জানান, ওই নারীর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা বানোয়াট ও কাল্পনিক। ফেসবুক গ্রুপ থেকে তাকে চিনতাম কিন্তু তার সঙ্গে কোনো দিন আমার দেখা- সাক্ষাৎ হয়নি। তাকে আমি চিনিও না। মামলায় উল্লেখ করেছেন-গত ৪ এপ্রিল ওই নারী আমার বাসায় অবস্থান করেছেন, আমি তার সঙ্গে শারীরিক মেলামেশা করেছি, যা মিথ্যা ও বানোয়াট। এদিন আমার বাসায় স্ত্রী ছিল এবং আমি আমার কর্মস্থলে গুরুত্বপূর্ণ কাজে রাতে বাসায় ছিলাম না। ওই নারী ঢাকায় চাকুরি ও বসবাস করেন। ঢাকায় আমার কোনো বাসা নেই। আমাকে হয়রানি করতেই এ মিথ্যা মামলাটি দায়ের করেছেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।