1. admin@haortimes24.com : admin :
মিঠামইনের"শ্যামপুর মাদরাসা" প্রকৃত স্থানে স্থানান্তর! ভাংচুর, নথি লুটের মামলা!! (হাওর টাইমস) - হাওর টাইমস ২৪
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৪২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জিলাপি কান্ডে প্রত্যাহারকৃত ওসিকে পূনবহালের দাবিতে ইটনায় বিএনপির বিক্ষোভ! পিবিআই এর ৫ কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ার অডিও ভাইরালে ক্লোজড ইটনা থানার ওসি অডিও ভাইরালঃ ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ইটনার ওসি অষ্টগ্রামে ১৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার কটিয়াদীতে সাড়ে ৫ বছর পর স্বপদে বহাল প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ মাস ১১ দিন পর মিলল ২৮ বস্তা টাকা করিমগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত অষ্টগ্রাম রিপোর্টার্স ক্লাব গঠিত! আহবায়ক মোঃ শাহিন ও সদস্য সচিব নাদিরুজ্জামান আজমল
শিরোনাম
জিলাপি কান্ডে প্রত্যাহারকৃত ওসিকে পূনবহালের দাবিতে ইটনায় বিএনপির বিক্ষোভ! পিবিআই এর ৫ কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ার অডিও ভাইরালে ক্লোজড ইটনা থানার ওসি অডিও ভাইরালঃ ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ইটনার ওসি অষ্টগ্রামে ১৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার কটিয়াদীতে সাড়ে ৫ বছর পর স্বপদে বহাল প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ মাস ১১ দিন পর মিলল ২৮ বস্তা টাকা করিমগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত অষ্টগ্রাম রিপোর্টার্স ক্লাব গঠিত! আহবায়ক মোঃ শাহিন ও সদস্য সচিব নাদিরুজ্জামান আজমল

মিঠামইনের”শ্যামপুর মাদরাসা” প্রকৃত স্থানে স্থানান্তর! ভাংচুর, নথি লুটের মামলা!! (হাওর টাইমস)

  • প্রকাশ কাল বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ৩১৫ বার পঠিত হয়েছে

মোহাম্মদ ওমর ফারুক চাষি,নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

মিঠামইনের শ্যামপুর গ্রামসহ এলাকাবাসী মিলে যাবতীয় আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র লুট করাসহ শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদরাসা ভেঙে শ্যামপুরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

মাদরাসাটি কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা গোপদিঘী ইউনিয়নে অবস্থিত। এটি ধলাই গ্রামের হাওরে অস্থায়ী অনুমতির বরাত দিয়ে পাঠদান কার্যক্রম চালানোর জন্য গত ৬ সেপ্টেম্বর অর্থাৎ সংঘটিত ঘটনার তিনদিন আগে নির্মাণ করা হয়েছিল।
এ নিয়ে মাদরাসার সুপার মো. আমিনুল হক বাদী হয়ে ৮২ জনকে আসামিসহ অজ্ঞাতনামা এলাকার আরও শতাধিক লোকের বিরুদ্ধে মিঠামইন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। যার নং- ০৬, তারিখ ১০/০৯//২০২২ খ্রি.। ধারা- ১৪৩/৪৪৭/৩১৩/৪২৭/৫০৬/১১৪/৩৪ দ.বি.।

মামলা সূত্রে জানা যায়, পূর্বপ্রস্তুতিতে ঘটনার দিন পৌনে ৭টার সময় বিবাদীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মাদরাসায় ঢুকে ভাংচুর করে এবং ৩টি দোচালা ঘরের টিন, কাঠ, বেড়া, আসবাবপত্র ও গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্রসহ আনুমানিক ২০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। বিবাদীরা সেসব নিয়ে চলে যাওয়ার সময় ঘটনার বিষয়ে থানায় কোনো প্রকার মামলা করলে সাক্ষীদের জীবনের জন্য শেষ করে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

মামলা সূত্রে আরও জানা যায়, ঘটনার স্থলে সাক্ষীরা উপস্থিত হয়ে ঘটনার কারণ জানতে চাইলে তাদেরকে এখানে মাদরাসার শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে নিষেধ করে বিবাদীরা। তাছাড়া এ বিষয় নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করলে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীসহ অভিভাবকদের ক্ষতি হবে এবং মাদরাসার কার্যক্রম চিরদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দেয়। একপর্যায়ে বিবাদীরা মাদরাসার সুপারকে নিলাফোলা জখম করে বলে অভিযোগ।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সুপার মো. আমিনুল হক ধলাই-বগাদিয়া গ্রামে নতুন করে মাদরাসার প্রতিষ্ঠা করার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা দেওয়ার মতো লোক না পেয়ে পাশের শ্যামপুর গ্রামে গিয়ে প্রতিনিয়ত ধরনা দেয়। এতে ক্ষুদ্র কৃষক মো. জজ মিয়া (বর্তমানে প্রয়াত) রাজি হয়ে ১০০ শতক জমি রেজিস্ট্রি দলিলে দান করে দেন। ফলে মাদরাসাটি ১৯৯৯ সালে শ্যামপুর গ্রামে প্রতিষ্ঠা লাভে সক্ষম হয়। সেই দানের জায়গার সুবাদে সুপারসহ ১৭/১৮ জন শিক্ষক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান এবং স্থায়ী পাঠদানের অনুমতি ও প্রতিষ্ঠান এম,পি,ও ভূক্ত হয়।

এরপরেই ঘটে যত বিপত্তি।২০১০ সালে এমপিওভুক্তির পর সুপার মো. আমিনুল হক পরিচালনা পরিষদের কাছে মাদরাসা আয়-ব্যয়ের হিসাব দিতে অসম্মতি জানালে বিরোধ দেখা দেয়। কিন্তু সুপার সেই হিসাব না দিয়ে এর পরিবর্তে পরিচালনা পরিষদ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অগোচরে রাতারাতি ২০১১ সালের পহেলা জানুয়ারিতে মাদরাসাটি সরিয়ে নিয়ে যায় নিজ এলাকা ধলাই-বগাদিয়া বাজারে। সেখানে স্বল্প পরিসরে ছোট দুটি দোচালা টিনশেড ঘর উঠিয়ে অফিসসহ দশটি শ্রেণির পাঠদান কার্যক্রম চালাতে থাকে কেবল কাগজে-কলমে, যা বিভিন্ন গণমাধ্যমেও প্রকাশ পায়।

সুপার শ্যামপুর গ্রাম থেকে মাদরাসাটি স্থানান্তরের এক বছর পর অর্থাৎ ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবরে এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পাঠদানের ক্ষেত্রে ‘অস্থায়ী অনুমতি’ নেয়। আর এটিকেই পুঁজি বানিয়ে মাদরাসাটি বারো বছরে ছয়বার জায়গা স্থানান্তর করা হলেও মাদরাসার প্রকৃত জায়গায় ফিরে যায়নি।

এমন পরিস্থিতিতে মাদরাসাটি স্থায়ী চত্বরে ফিরে পেতে একদফা দাবি জোরালো হয়ে ওঠে। ফলে প্রায় ১৪ শত ভোটারের ও আড়াই হাজার জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত শ্যামপুর গ্রামে অনুষ্ঠিত ইউনিয়নবাসীর বিপুল উপস্থিতিতে ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনী জনসভায় উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতারা সেদিন মাদরাসার নিজস্ব স্থান শ্যামপুর গ্রামে ফিরিয়ে দেবার প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু পরবর্তীতে বারবার ধরনা দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি।

অবশেষে ২০২০ সালের জুলাই মাসে শ্যামপুরবাসীর এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২১ সালের ১১ এপ্রিল প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক সরেজমিন পরিদর্শন করেন এবং মাদরাসাটি সাবেক জায়গা শ্যামপুরে ফিরিয়ে আনার নির্দেশ দেন। যার মৌজা- মুশুরিয়া, খতিয়ান- ৬০, সাবেক দাগ- ৩৯৯ অর্থাৎ আরএস দাগ নং- ৮৭২ ও ৮৭৫।

তথাপি মাদরাসাটি পঞ্চমবারের মতো জায়গা পরিবর্তনে নতুন বগাদিয়া গ্রামের হারিছ বেপারির বসতভিটায় তোলা হলে গত ১২ জুলাই ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত হয়। এতে প্রায় দুই মাস শ্রেণি পাঠদান বন্ধ থাকে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও গণমাধ্যমে লেখালেখি শুরু হয়। ফলে তড়িঘড়ি করে গত ৬ সেপ্টেম্বর এমপি তৌফিকের নির্দেশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের বহুমুখী পদক্ষেপকে উপেক্ষা করে ধলাই গ্রামের হাওরে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ত্রাণের ১১ বান্ডিল টিন দিয়ে ছোট দোচালা তিনটি ঘর উঠানো হলে শ্যামপুর গ্রামবাসী তা সাবেক জায়গায় তুলে নিয়ে আসে।
এ ব্যাপারে কথা হয় শ্যামপুর গ্রামের রেনু মিয়া (৬০), ফজলু মিয়া (৬০), সুন্দর আলী (৬০), বাচ্চু মিযা (৫২), মুজিবুর রহমান (৬০), আব্বাস আলী (৬৭), আজিজুল হক (৬২), সহর আলী (৬০), মাহতাব (৪৮), সোহরাব (৫০), রতন মিয়া (৫০), আলমগীর (৩০), জাহাঙ্গীর (২৬), মানিক (২৬) সহ শতাধিক লোকের সঙ্গে।
তারা জানান, সুপার ও তার সঙ্গীয়দের দ্বারা দীর্ঘ বারো বছর ধরে কুক্ষিগত করে রাখা শ্যামপুর মাদরাসা তারা পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রপতিপুত্র এমপি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের নির্দেশিত স্থায়ী ঠিকানায় অর্থাৎ শ্যামপুর গ্রামে এনে স্থাপন করেছেন।

তারা মাদরাসার ক্ষেত্রে দীর্ঘ বারো বছর ধরে ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত থাকার কথা উল্লেখ করে জানান, সুপার যেসব কারণ দেখিয়ে প্রশাসনের অস্থায়ী অনুমতি ও আদালতের রায়ের দোহাই দিয়ে চলেছেন, আসলে সেসব কারণ এখন বাস্তবে বলবৎ নেই।

এলাকাবাসীর অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিকে সুপার নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি বানিয়ে বাণিজ্য শুরু করেছে বলেও জানান।

তাছাড়া উর্ধতন কর্মকর্তা ও সংবাদ কর্মীদের সরজমিন পরিদর্শন করে গঠনার সত্যতা প্রকাশে ও সুপারের এসব অপকর্মের প্রতিরোধের জোর দাবি জানিয়েছে শ্যামপুরবাসী।

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।

Site Customized By NewsTech.Com

প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST