ছাইদুর রহমান নাঈম, কটিয়াদী প্রতিনিধিঃ
কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা না থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্মে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে৷ ২৫ দিন ধরে পদটি শূন্য রয়েছে। একি সাথে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীদের বেতন বোনাস বন্ধ রয়েছে।
এদিকে সরকারি এক আদেশে একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তার নতুন যোগদানের আদেশ জারি হলে কটিয়াদী এসে তিনদিন অবস্থানের পর অদৃশ্য কারণে রহস্যজনক
পুনরায় বদলি হয়ে যায়।
জানা যায়, গত মে মাসের ১৩ তারিখ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান বদলি হন। এর পর থেকেই পদটি খালি রয়েছে৷ ভারপ্রাপ্ত হিসাবে দায়িত্বে আছেন ডাঃ মেহেদী হাসান। গত ২১ মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. হারুন আর রশীদ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বাগেরহাট জেলা থেকে ডাঃ হিমেল খানকে কটিয়াদীতে বদলি করা হয়। গত ২৫ মে তিনি নতুন কর্মস্থলে আসেন। কিন্তু জেলা সিভিল সার্জন তার যোগদানপত্র গ্রহণ করেননি৷ পরে পরিচালক প্রশাসন আগের আদেশ সংশোধন করে সুনামগঞ্জের ছাতকে বদলির আদেশ দেন৷ এরপর থেকে নতুন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা নিয়োগ হয়নি৷
এ বিষয়ে ডাঃ হিমেল খান জানান, চিঠি পেয়ে সিভিল সার্জন অফিসে গেলে তার যোগদানপত্র গ্রহণ করা হয়নি৷ মৌখিক ভাবে কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়। কথামতো কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলাম৷ কিন্তু তিনদিন পরে সুনামগঞ্জে বদলি করে দেওয়া হয়েছে ৷ কি কারণে হঠাৎ এমন হলো আমারো অজানা৷
সিএইচসিপিরা জানান, সামনে ঈদ, এমতাবস্থায় বেতন-বোনাস না পেলে তাদের পরিবার নিয়ে ঈদ করতে পারবেনা৷ সবার চোখেমুখে এখন হতাশার ছাপ।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসাবে আছেন ডাঃ মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, কর্মকর্তা- কর্মচারীরা কেউ বেতন ভাতা তুলতে পারনি৷ সিভিল সার্জনকে জানানো হয়েছে ৷ সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন।
কিশোরগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মৌখিক নির্দেশে ডাঃ হিমেলের যোগদানপত্রটি গ্রহণ করা হয়নি৷ আমাকে জানানো হয়েছে আদেশটি সংশোধন করা হবে এর বেশি কিছু জানিনা৷
পূর্বে বদলি হওয়া সাবেক একজন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পুনরায় কটিয়াদী হাসপাতালে আসার তদবির চালাচ্ছেন এমন গুঞ্জন রয়েছে । যদিও বিষয়টি কোন মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায়নি৷
এ বিষয়ে জানতে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) হারুন আর রশীদের সাথে৷
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।