নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
চলতি বছরের একতারা ফাউন্ডেশন কর্তৃক “একতারা বিজয় উৎসব সম্মাননা” পদকে ভূষিত হলেন সাংবাদিক মোস্তাফিজ আমিন। তৃণমূল সাংবাদিকতায় অমান্য অবদান রাখায় তাঁকে এই সম্মাননা প্রদান করেন সংগঠনটি।
আজ রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন প্রধান অতিথি লায়ন সাইফুল আলম সোহেল।
জানাযায়, সংগঠনটি ২০০০ সালে প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে অবদান রাখা গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করে আসছে। চলতি বছর মোস্তাফিজ আমিনসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার মোট ৭জন গুণীজনকে এই সম্মাননা পদকে ভূষিত করেছে। তাঁরা হলেন-বীরমুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজুল ইসলাম, শিক্ষাবিদ মো. গিয়াস উদ্দিন, কবি ও ছড়াকার মহসিনুল হক খন্দকার, পরিবেশ রক্ষাকর্মী মো. হোসাইন, নারী উদ্যোক্তা মিসেস তাজমিনা আক্তার ও হামিদা পারভীন।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার কামারটেক সবুজ পাহাড় অনার্স কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ওই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বনসাই শিল্পী কে.এম.সবুজ, নারী উদ্যোক্তা বাংলাদেশ’র প্রেসিডেন্ট রূপা আহমেদ, শিল্পপতি মো. নাসিমুল ইসলাম নাসিম, কণ্ঠশিল্পী রবিন আহমেদ ও যৌতুক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনের অন্যতম সৈনিক জুম্মা খান নিয়াজী।
মোস্তাফিজ আমিন দেশের অন্যতম জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভি’র ভৈরবের স্টাফ রিপোর্টার। অগ্রসর পাঠকদের দৈনিক “দেশরূপান্তর”এর ভৈরব প্রতিনিধি।
১৯৯১ সালে স্থানীয় পত্রিকা সাপ্তাহিক গৃহকোণের মাধ্যমে সাংবাদিকতা শুরু করা মোস্তাফিজ আমিন কাজ করেছেন পাক্ষিক ভৈরব, সাপ্তাহিক মফস্বলচিত্র পত্রিকায়। ১৯৯৯ সালে তাঁর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সাপ্তাহিক নিরপেক্ষ অরুণিমা। অরুণিমা নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকা। ভৈরবসহ কিশোরগঞ্জ, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া ও নরসিংদী জেলায় পত্রিকাটি বিপুল জনপ্রিয়তা পায়।
২০০৪ সালে কাজ শুরু করেন একই হাউজের দুই মিডিয়া এনটিভি আর আমারদেশ পত্রিকার ভৈরব প্রতিনিধি হিসেবে। ২০০৬ সালে তাঁর কর্মদক্ষতার স্বীকৃতি হিসেবে এনটিভি “স্টাফ রিপোর্টার” হিসেবে পদোন্নতি দেয়। দৈনিক আমারদেশ পত্রিকাটির প্রকাশনা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তিনি কয়েক বছর প্রিণ্ট মিডিয়া থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর থেকে কাজ করছেন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।