নিজস্ব প্রতিনিধিঃ

কঠোর নিরাপত্তায় ৩ মাস ২৬ দিন পর কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের নরসুন্দা নদীর তীরে অবস্থিত ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের ৯টি লোহার দানবাক্স খোলা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১৭ আগস্ট) সকালে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। সেখানে ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা এতিমখানার শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৩৫০ জন টাকা গণনার কাজে অংশ গ্রহন করেন।

সকাল ৮ টায় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তরিকুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখের উপস্থিতে দানবাক্স খোলা হয়।

গণনায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহুয়া মমতাজ, মসজিদের পেশ ইমাম মুফতি খলিলুর রহমান ও রূপালী ব্যাংকের সহকারী কব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম, আনোয়ার পারভেজসহ মসজিদ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য এবং মসজিদ কমপ্লেক্সে অবস্থিত মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক- শিক্ষার্থীরাসহ মোট ২২০ জনের একটি দল অংশ নিয়েছেন।

গত ২০ এপ্রিল পাগলা মসজিদের ৯টি দানবাক্স খোলা হয়েছিল। তখন রেকর্ড ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা পাওয়া যায়। অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছিল। ২২০ জনের একটি দল দীর্ঘ সাড়ে ১৮ ঘণ্টায় এ টাকা গণনা কাজে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও দানবাক্সে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া যায়।

জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম জানান মসজিদটি দৃষ্টিনন্দন ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এতে নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।