ইটনা প্রতিনিধিঃ
ইটনা মহেশ চন্দ্র মডেল সরকারি শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষকসহ আরও দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে পদত্যাগের এক দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলসহ লিখিত অভিযোগ করেছে শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষা নিয়ে বাণিজ্য, চলবে না, চলবে না। শিক্ষকদের রাজনীতি বন্ধ হউক বন্ধ হউক, এমন সব স্লোগানে ইটনা উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করে বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার (২৫ অগাস্ট) সকাল ১১ টায় ইটনা উপজেলার সচেতন নাগরিক সমাজ এবং মহেশ চন্দ্র সরকারি মডেল শিক্ষা নিকেতন এর সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা ইটনা উপজেলা হাসপাতাল পুরাতন কোয়ার্টার থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে। ইটনা মহেশ চন্দ্র মডেল সরকারি শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক আবু বক্কর ছিদ্দিক এর অনিয়ম, দূর্নীতি, শিক্ষা বাণিজ্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিলটি ইটনা উপজেলার বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিন পর ইটনা উপজেলা পরিষদ এর সামনে গিয়ে সমবেত হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারিকুল আলম এর বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দেওয়া হয়।
অভিযোগপত্রে আরও দুইজন সহকারী শিক্ষক কামরুল ইসলাম গাজী ও সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও প্রধান শিক্ষকের সহকারী হিসেবে নানা অপকর্মের সহযোগিতা করেছেন বলেও অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগ পত্রের বিবরণ থেকে জানা যায়, মহেশ চন্দ্র মডেল সরকারি শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক আবু বকর ছিদ্দিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক পান্না লাল দেবনাথকে সাথে নিয়ে স্কুলে গোপনে দিতেন নেশার আড্ডা, বিদ্যালয়ের ফান্ডের টাকা নিজ খেয়াল খুশিমতো খরচ করতেন।
এছাড়াও রয়েছে সনদ কেনা-বেচার সঙ্গে জড়িত। শিক্ষা বাণিজ্যসহ ক্ষমতার অপব্যবহার করে কিশোরগঞ্জ জেলা শহর সহ নিজ গ্রামে গড়ে তুলেছেন ছয় ছয়টি বাড়ী। অপর দিকে রয়েছে কোটি টাকার আবাদি জমিও। শুধু তাই নয় নামে বেনামেও রয়েছে অনেক সম্পত্তি। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সার্টিফিকেট সংগ্রহ করে বেচাকেনা করে গড়েছেন টাকার পাহাড়। মহেশ চন্দ্র মডেল সরকারি শিক্ষা নিকেতন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে কামিয়েছেন টাকার পাহাড়।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত ইটনা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ তারিকুল আলম বলেন, অভিযোগ পত্র পেয়েছি, আইনানুযায়ী শান্তিপূর্ন সমাধান ও যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরন সাপেক্ষ ব্যবস্থা গ্রহনের অনুরোধ জানানো হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।