1. admin@haortimes24.com : admin :
ভুয়া কাগজপত্র ও তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে চাকুরীর অভিযোগ - হাওর টাইমস ২৪
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:০২ অপরাহ্ন
ব্রেকিং নিউজ
জিলাপি কান্ডে প্রত্যাহারকৃত ওসিকে পূনবহালের দাবিতে ইটনায় বিএনপির বিক্ষোভ! পিবিআই এর ৫ কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ার অডিও ভাইরালে ক্লোজড ইটনা থানার ওসি অডিও ভাইরালঃ ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ইটনার ওসি অষ্টগ্রামে ১৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার কটিয়াদীতে সাড়ে ৫ বছর পর স্বপদে বহাল প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ মাস ১১ দিন পর মিলল ২৮ বস্তা টাকা করিমগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত অষ্টগ্রাম রিপোর্টার্স ক্লাব গঠিত! আহবায়ক মোঃ শাহিন ও সদস্য সচিব নাদিরুজ্জামান আজমল
শিরোনাম
জিলাপি কান্ডে প্রত্যাহারকৃত ওসিকে পূনবহালের দাবিতে ইটনায় বিএনপির বিক্ষোভ! পিবিআই এর ৫ কর্মকর্তার বদলী জনিত বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত কিশোরগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ‘জিলাপি’ খেতে চাওয়ার অডিও ভাইরালে ক্লোজড ইটনা থানার ওসি অডিও ভাইরালঃ ছাত্র আন্দোলনের নেতার কাছে জিলাপি খেতে চাইলেন ইটনার ওসি অষ্টগ্রামে ১৫ কেজি গাঁজাসহ তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার কটিয়াদীতে সাড়ে ৫ বছর পর স্বপদে বহাল প্রধান শিক্ষক মাহবুবুল আলম কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে ৪ মাস ১১ দিন পর মিলল ২৮ বস্তা টাকা করিমগঞ্জে বীরমুক্তিযোদ্ধা কবীর উদ্দিন আহমেদ স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত অষ্টগ্রাম রিপোর্টার্স ক্লাব গঠিত! আহবায়ক মোঃ শাহিন ও সদস্য সচিব নাদিরুজ্জামান আজমল

ভুয়া কাগজপত্র ও তথ্য গোপন করে অধ্যক্ষ পদে চাকুরীর অভিযোগ

  • প্রকাশ কাল মঙ্গলবার, ১ অক্টোবর, ২০২৪
  • ১৪৯ বার পঠিত হয়েছে

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায় ভুয়া কাগজপত্র প্রদর্শন ও তথ্য গোপন করে মো. শহিদুল্লাহ নামে এক ব্যক্তি মিরদী ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে নিয়োগের অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন ও সত্যতার প্রতীয়মান হয়েছে ।

গত ২২ আগস্ট মিরদী ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো. রফিকুল ইসলাম পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ভুয়া কাগজপত্র প্রদর্শন ও তথ্য গোপন করে মো. শহিদুল্লাহ’র বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। এর প্রেক্ষিতে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ৩ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বিষয় খতিয়ে দেখে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন।

উক্ত তদন্ত কমিটিতে পাকুন্দিয়া কৃষি কর্মকর্তাকে প্রধান করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক দুই শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পাকুন্দিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে সত্যাসত্য প্রতিবেদন দাখিল করেন।উক্ত তদন্ত প্রতিবেদনটি যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য কিশোরগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কাছে গত ১২ সেপ্টেম্বর ৫৮৫ নং স্বারকে পাঠিয়েছেন পাকুন্দিয়ার ইউএনও মো.বিল্লাল হোসেন।

অভিযুক্ত মো. শহিদুল্লাহ পার্শ্ববর্তী কাপাসিয়া উপজেলার বেলাশী গ্রামের মো.আবু তাহের এর ছেলে। তিনি গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর পাকুন্দিয়া উপজেলার মিরদী ফাজিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদে যোগদান করেন। এর আগে তিনি আরও দুটি মাদ্রাসায় চাকুরী করার কালীন নানা দূর্নীতি আর জালিয়াতির অভিযোগে চাকুরী হারিয়েছেন। এমনকি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ তাঁর নানা অনিয়ম দূর্নীতি আর জালিয়াতির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তার চাকুরী ডিসমিস করে। যাথে করে আর কোন মাদ্রাসায় চাকুরী করতে না পারে। এতসব অভিযোগ গোপন করে পূনরায় তিনি মিরদী ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসায় মোটা অন্কের মাসোহারা দিয়ে তথ্য গোপন করে চাকুরী জুটিয়ে নেন।

এছাড়াও পূর্বের দুটি মাদ্রাসার চাকুরীর যে সমস্ত প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করেছেন এগুলোও ভূয়া বলে তদন্ত কমিটির কাছে প্রমাণিত প্রতীয়মান। তদন্ত কমিটির কাছে তিনি কোন সঠিক বিষয় উপস্থাপনও করতে পারেনি বলেও জানা যায়।

জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৫ মার্চ জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে উপজেলার মিরদী ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এর প্রেক্ষিতে ওই বছরের ৯ সেপ্টেম্বর মো. শহিদুল্লাহ অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পান। এরপরই তার নিয়োগের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে।

অভিযোগ উঠে, তাঁর সর্বশেষ কর্মরত প্রতিষ্ঠানের ভুয়া প্রত্যয়নপত্র এবং সেই প্রতিষ্ঠানে উপাধ্যক্ষ পদে বরখাস্ত হওয়ার তথ্যটি গোপন করে মো.শহিদুল্লাহ মিরদী ফাজিল মাদরাসায় অধ্যক্ষ পদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন এবং নিয়োগপ্রাপ্ত হন। যা নিয়ম বহির্ভূত।

এর প্রেক্ষিতে চলতি বছরের ২২ আগস্ট মিরদী ফাজিল মাদরাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্য মো.রফিকুল ইসলাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ নুরে আলমকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করেন ইউএনও। সঠিক তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।

গত ১১ সেপ্টেম্বর ওই কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ে অধ্যক্ষ পদে মো.শহিদুল্লার নিয়োগ বৈধ নয় এবং জাল জালিয়াতির বিষয়টি প্রতীয়মান বলে তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দাখিল করে।

এ বিষয়ে জানতে মিরদী ফাজিল ডিগ্রী মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. শহিদুল্লাহর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিডিয়ার সামনে আসতে অপারগতা প্রকাশ করেন। সেই সাথে ভূলত্রুটি ক্ষমা করে সংবাদ প্রকাশ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধও করেন।

পাকুন্দিয়ার ইউএনও মো. বিল্লাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, ওই মাদরাসার বিদ্যুৎসাহী সদস্যের আবেদনের প্রেক্ষিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি সঠিক তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে প্রতিবেদন দাখিল করলে প্রতিবেদনের আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে।

 

শেয়ার করুন

অন্যান্য সংবাদ


সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।

Site Customized By NewsTech.Com

প্রযুক্তি সহায়তায় BTMAXHOST