বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে সিএনজি চালকের মৃত্যুর ঘটনায় ওসিসহ ৫ পুলিশের নামে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে মরিয়ম আক্তার। মামলাটি আমলে নিয়ে অধিকতর তদন্তের জন্য আদালত পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
গত রোববার কিশোরগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৫ এ মামলাটি দায়ের করেন মরিয়ম আক্তার। রোববার এ মামলাটি হলেও মঙ্গলবার বিষয়টি গণমাধ্যমে জানাজানি হয়।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন-কটিয়াদী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. তারিকুল ইসলাম, এসআই মো. কামাল হোসেন, এসআই মোস্তফা মিয়া, এএসআই মো. নাহিদ হাসান, কনস্টেবল মো. আশরাফুল ইসলাম।
আদালতের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ৬ জানুয়ারি রাতে উপজেলার জালালপুর ইউনিয়নের চর ঝাকালিয়া গ্রামে ওসি তারিকুল ইসলামের নির্দেশে এসআই কামালসহ চারজন পুলিশ মাদকবিরোধী অভিযানের সময় সিএনজি চালক ইয়াসিন মিয়াকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুসি, বুটজুতো পরিহিত পা দিয়ে গোপনাঙ্গে, বুকে, পাঁজরে লাথি মারে ও বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করেন। ইয়াসিন মিয়াকে হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের স্ত্রী ও পরিবারের লোকজনের অভিযোগ-পুলিশের মারধরেই ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর অভিযান পরিচালনাকারী চার পুলিশ সদস্যকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়।
মামলার বাদী মরিয়ম আক্তার বলেন, ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে আমার বাবাকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার বিচার চাই।
মামলা পরিচালনাকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. আবু তাহের হারুন বলেন, নিহতের মেয়ে মরিয়ম আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার কটিয়াদী মডেল থানার ওসিসহ পাঁচজনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত সোমবার ঘটনাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে নির্দেশ প্রদান করেছেন।
কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হোসেনপুর সার্কেল) মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, সিএনজিচালক ইয়াসিন মিয়ার মৃত্যুর ঘটনায় কটিয়াদী থানার ওসিসহ পাঁচ পুলিশের নামে আদালতে মামলা হয়েছে-এমন ঘটনা আমার জানা নেই।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।