এম.আর রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধিঃ
পবিত্র ঈদুল ফিতরের ঈদকে কেন্দ্র করে ঘরমুখী সাধারণ মানুষজন যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি পৌঁছাতে পারে সেই লক্ষ্যে নিরলস ভাবে কাজ করছে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশ সদস্যরা।
ভৈরব হাইওয়ে থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মোজাম্মেল হকের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হাইওয়ে পুলিশের ৫টি টিম তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ভৈরবে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতু এলাকা, বাসষ্ট্যান্ড দূর্জয় মোড় এলাকায়, মুসলিমের মোড়, রায়পুরা উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় ও বারৈচা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় দিন ও রাতে ২৪ ঘন্টা পরিশ্রম করেছে এ ঈদের আগে যেন নির্বিঘ্নে মানুষজন বাড়ি ফিরতে পারেন।
হাইওয়ে পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভৈরব-সিলেট মহাসড়কের ২০কি.মি ও ভৈরব-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে ১৮কি.মি এলাকা সম্পুর্ণ যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের পাশাপাশি জেলা পুলিশ ও জেলা ট্রাফিক বিভাগ গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে উল্লেখিত স্থান গুলোতে সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।
গত ২৪ ঘন্টায় সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর উপর দিয়ে ১২হাজার পরিবহন যাতায়াত করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি মোজাম্মেল হক (পিপি এম)। তিনি বলেন, মহাসড়কের ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সড়কে কোনভাবেই যানজট সৃষ্টি না হয় ও মানুষজন ভোগান্তিতে না পড়ে, সেজন্য ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে ৫টি পয়েন্টে পুলিশ ২৪ঘন্টা একাধারে কাজ করে যাচ্ছে। অপরদিকে মহাসড়কে ফিটনেস বিহীন যানবাহনের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হচ্ছে এবং গাড়ির অতিরিক্ত গতি নিয়ন্ত্রণেও কাজ করছে পুলিশ।
এছাড়াও সাধারণ যাত্রীদের সর্তক ও সচেতন করা হচ্ছে তারা যেন ফিটনেস বিহীন গাড়িতে চলাচল না করেন। তিনি আরো বলেন, ঢাকা-সিলেট, নেত্রকোনা, ময়মনসিংহ,কিশোরগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রোডে চলাচলকারী যানবাহন নির্বিঘ্নে চলাচল করছে। এখন পযন্ত সড়কের অবস্থা অন্যান্য ঈদের তুলনায় অনেকটা নিরাপদ রয়েছে।
এদিকে মহাসড়কে স্বস্তির ঈদ যাত্রা নির্বিঘ্ন করতে প্রখর রৌদ্র উপেক্ষা করে সড়কে দায়িত্ব পালন করছেন ভৈরব উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস হোসেন সৌরভ।
আজ বুধবার সকাল থেকে বিকাল পযর্ন্ত ভৈরবের দূর্জয় মোড় সহ অন্যান্য স্পষ্ট গুলোতে ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের সাথে মাঠে ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলহাস হোসেন সৌরভ।
তিনি জানান, মহাসড়কে স্বস্তির ঈদযাত্রায় যেন ঘরমুখী মানুষজন বাড়ি ফিরতে পারেন সেই লক্ষ্যে কাজ করছি। আশাকরি তীব্র দাবদাহ উপেক্ষা করে সড়কে যানযট মুক্ত পরিবেশে বাড়ি ফিরতে পারবে সাধারণ মানুষ।