ঢাকা প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলার গোপদীঘি ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসা নিজস্ব রেজিস্ট্রি ভূমিতে ফিরিয়ে আনার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে হাওর অঞ্চল সুনাগরিক ঐক্য পরিষদ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইনের শ্যামপুর দারুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাটির সুপার আমিনুলের স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। এখানে ২৭৪ জন শিক্ষার্থী ও ১৭ জন শিক্ষক দেখিয়ে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ আছে সব মিলিয়ে গুটাপাঁচেক । ২০ জন ছাত্রও একসঙ্গে আসে না, আর শিক্ষকদের মধ্যে পাঁচ জনের বেশি কেউ কোন দিন দেখেওনি।
সুপারের এসব দূর্নীতি বন্ধের জন্য এই মাদ্রাসারই ৭ জন শিক্ষক স্থানীয় এম,পি ও মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবরে দরখাস্ত লিখেও প্রতিকার হয়নি।
ইতিপূর্বে এলাকার মানুষ গন স্বাক্ষর করে
অভিযোগ করেও পায়নি কোন প্রতিকার।মাদ্রাসার সুপার আমিনুল হক অনৈতিক ভাবে সকলকে ম্যানেজ করে তার স্বার্থ চরিতার্থ করে বহুমাত্রিক দূর্নীতির মাধ্যমে বার বার পার পেয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংসে মরিয়া হয়ে উঠছে।
বক্তাগনের বক্তব্যে উঠে এসেছে জেলা প্রশাসন বরাবর দরখাস্ত করলে জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে আস্বস্ত করা হলেও এর কোনো সঠিক সিদ্ধান্ত হয়নি। এসব নিয়ে দেশ টিভি, প্রথম আলোসহ অগনিত প্রিন্ট, ইলেকট্টনিক্স ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর ছাপা হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি রহষ্যজনক কারণে কর্নপাত করছে না।
উক্ত মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডঃ রুকন রেজা শেখ জজকোর্ট ঢাকা। প্রধান আলোচক এডঃ মস্তফা জামাল ভূঁইয়া বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডঃ ফকির আবদুল মজিদ জজকোর্ট ঢাকা,ক্বারী মোহাম্মদ ওমর ফারুক মফস্বল সম্পাদক দৈনিক আমার সংগ্রাম ঢাকা, এডঃ মাহবুব আলম আক্তার জজকোর্ট ঢাকা,এডঃ তানজিল সিদ্দিকী রিয়াদ জজকোর্ট ঢাকা,এডঃ আরিফ খান বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, এডঃ জাহিদ কামাল বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, এডঃ আব্দুল হামিদ ভূঁইয়া জজকোর্ট ঢাকা।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মাহমুদ হোসেন ভূইয়া,মোঃ সেলিম মিয়া প্রমুখ।
সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ সেবক মোঃ দিদারুল আলম দিদার, অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন এডঃ রফিকুল ইসলাম মীর জজকোর্ট ঢাকা।
প্রতিষ্ঠানটি স্থাপিত হওয়ার পরে নিজস্ব জায়গা থাকা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত স্থানান্তর হয়েছে পাঁচবার। শিক্ষার্থীদের সুবিধা অসুবিধার কথা চিন্তা করে নয়, মাদ্রাসা সুপারের সুযোগসুবিধা আর তার ইচ্ছামতো স্থানান্তর হয় যখন তখন। বর্তমানে সেই মাদ্রাসার অবস্থান উপজেলার ধলাই-বগাদিয়ার বাজারের একটি টিনশেড ঘরে।
তবে যে ঘরটিকে মাদ্রাসা হিসেবে দেখানো হয়েছে সেটি মূলত ধলাই-বগাদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত ঘর। নিজস্ব জায়গায় এবং ঘর থাকার পরেও কেনো মাদ্রাসা এই পরিত্যক্ত ঘরে চলবে বক্তব্যে প্রশ্ন রাখা হয়।
সাইনবোর্ড আছে। শিক্ষার্থীরা কেবল ফি দিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করলেই খুশি কর্তৃপক্ষ। অত্র প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত ছাত্র, ছাত্রী না থাকলেও দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে অনিয়মিত ছাত্রদের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করিয়ে পাসের হার বৃদ্ধি করে শুধু কাগজে কলমে বেতন ভাতা নেয়ার ফন্দি আঁটেন সুপার আমিনুল হক।
মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয় ১৯৯৯ ইং সালে। পাঠদানের জন্য একাডেমিক স্বীকৃতি পায় ২০০৫ সালে। আর এমপিওভুক্ত হয় ২০১০ ইং সালে। পরিচালনার কমিটির সভাপতি প্রয়াত জজ মিয়া যে এক একর জায়গা দান করেন সে জায়গাতে বর্তমানে ঘর এবং সুন্দর পরিবেশ থাকার পরেও কেনো বাজারের পরিত্যক্ত ঘরে মাদ্রাসা চালাতে হবে এই রহস্য খুজে বের করতে হবে।
হাওর অঞ্চল সুনাগরিক ঐক্য পরিষদ এর বক্তাগন বলেন জজ মিয়া বর্তমানে দুনিয়াতে নেই কিন্তু উনার দানকৃত ভূমির উছিলায় মাদ্রাসাটি স্থাপিত হয়। উনার দানের সম্মানে মাদ্রাসাটি অনতি বিলম্বে নিজ জায়গায় ফেরত আনা হউক। এবিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ও শিক্ষা সচিবের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।