নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানার শিশু ধর্ষণ মামলার একমাত্র আসামি শিক্ষক ছোবান মাষ্টারকে গ্রেফতার করেছে সিপিসি-২, র্যাব-১৪, সিপিসি ২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল।
গ্রেফতার আ. ছোবান মাস্টার (৬০) করিমগঞ্জ উপজেলার সাতারপুর বিলপাড় এলাকার বাসিন্দা ও পেশায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত সাড়ে ৯ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পাকুন্দিয়া উপজেলার কোদালিয়া শৈলজানি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। মামলার পর থেকেই তিনি এতদিন পলাতক ছিলেন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানান, সিপিসি-২, র্যাব-১৪, সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সিনিয়র সহকারী পরিচালক।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায় যে, বাদি ও বিবাদি পাশাপাশি বাড়িতে বসবাস করেন। ঘটনার দিন চলতি বছরের ১২ এপ্রিল রাত অনুমান ৯ টায় বিবাদী আ. ছোবান মাস্টার (৬০) ভিকটিমকে মজা খাওয়াবে বলে তার নিজ বাড়ির ঘরে নিয়ে গিয়ে ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ভিকটিম চিৎকার করলে ভিকটিমের নানী ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বিবাদির বাড়িতে গিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধার করে। এ সময় বিবাদি আ. ছোবান মাস্টার (৬০) পালিয়ে যান। পরবর্তীতে ভিকটিমের বাবা বাদি হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত শিশু ধর্ষণ মামলা থেকে বাচঁতে কয়েকজন নেতা করিমগঞ্জ থানায় যান ভিকটিমের বাবার নামে চুরির মামলা করতে। করিমগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযোগটি তদন্ত করে চুরির ঘটনার কোন প্রমাণ না পেয়ে মিথ্যা মামলাটি এফআইআরও করেনি।
পরে ভুক্তভোগীর বাবা নাসির উদ্দিন বাদী হয়ে গত ১৮ এপ্রিল করিমগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িতকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে কার্যক্রম গ্রহণ করে।
র্যাব-১৪ সিপিসি-২ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের কোম্পানি কমাণ্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. আশরাফুল কবির জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আসামিকে গ্রেপ্তার করি। গ্রেপ্তারকৃত আসামিকে করিমগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত আসামিকে থানায় হস্তান্তরের বিষয়টি স্বীকার করে করিমগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোহাম্মদ মাহাবুব মোরশেদ বলেন, আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।