নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কিশোরগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে কুলিয়ারচর উপজেলায় শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক ভাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন।
কুলিয়ারচর উপজেলা থেকে সাধারণ সদস্য পদে বেসরকারিভাবে আব্দুল সাত্তার মাস্টার বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নজরুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনের পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচী অনুযায়ী সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯ ঘটিকা থেকে শুরু হয়ে বেলা ২ ঘটিকা পর্যন্ত কুলিয়ারচর উপজেলা পরিষদ হলরুমে টানা ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্যদের ভোটে এবং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইসচেয়াম্যানগণ তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে কুলিয়ারচর উপজেলার সাধারণ আসনের সদস্য পদে ১৩নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য নির্বাচিত করেছেন।
নির্বাচনে সাধারন সদস্য পদে মোট ৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
প্রাপ্ত ফলাফলে দেখা যায়ে সাধারণ সদস্য পদে আব্দুছ ছাত্তার (ঘুড়ি) প্রতিক নিয়ে ৪১ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. নজরুল ইসলাম (তালা) প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ২৮ ভোট, তাছাড়া শিউলী খানম (বৈদ্যুতিক পাখা) নিয়ে পেয়েছেন ১৬ ভোট,
মো.জিল্লুর রহমান (টিউবওয়েল) প্রতিকে পেয়েছেন ৩ ভোট, নাসিমা আক্তার চায়না (হাতি) প্রতিকে পেয়েছেন ৩ ভোট এবং মাঈনুল হাসান শ্যামল (অটোরিকশা) প্রতিকে ১ ভোট পেয়েছেন।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আছমা আহমেদ (টেবিলঘড়ি) পেয়েছেন ৩২ ভোট, মোছাঃ হাসনা হেনা (ফুটবল) ০৪ ভোট, সানজিদা ইয়াছমিন হরিণ প্রতিকে পেয়েছেন ৫৬ ভোট।
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মোঃ জিল্লুর রহমান (চশমা) প্রতিকে ৫৬ ভোট, আশিক জামান (মোটর সাইকেল) ৯ ভোট, মোঃ আশরাফ উদ্দিন (আনারস) প্রতিকে ৭ ভোট, হামিদুল আলম চৌধুরী ( ঘোড়া) ১৯ ভোট ও মোঃ সেলিম ( হেলিকপ্টার) ১ ভোট পেয়েছেন।
নির্বাচনে মোট ৯৪ জন ভোটারের মধ্যে ৯২ জন ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।
নির্বাচনে সাধারণ আসনে বিজয়ী আব্দুল সাত্তার মাস্টার বিকেলে তাঁর সমর্থকদের নিয়ে মিছিল সহকারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়ার বাসভবনে আসেন। এ সময় আলহাজ্ব ইয়াছির মিয়া এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে সাত্তার মাষ্টারকে বিজয়ী করার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানান।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।