কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

দীর্ঘ ১৫ বছর পর কিশোরগঞ্জের ইটনায় নিজের নির্বাচনী এলাকায় সমাবেশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান।

শনিবার (১০ আগষ্ট) বিকেলে জেলার ইটনায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত জনসভায় তাকে এক নজর দেখতে হাজার হাজার নেতাকর্মীদের ঢল নামে।

গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ ও পুলিশের বাধায় তিনি এলাকায় কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে পারেননি। শনিবার বিকেল ৩টায় সমাবেশ শুরু হলেও দুপুর ১২টা থেকেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ইন্জিন চালিত ট্রলারে (নৌকা) করে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন। এদিন ফজলুর রহমানের বক্তব্য শুনতে তীব্র রোদ উপেক্ষা করে কলেজ মাঠে সাধারণ মানুষের কয়েক ঘন্টা অবস্থান নেন।

অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান বলেন, ‘আজ ১৫ বছর পর দেশের মানুষ মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছে। আমাদের সোনার ছেলেরা নতুন স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমরা এখন স্বাধীন। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে রক্ষা করা অনেক কঠিন। আমাদের সবাইকে এ লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতারা ছিলেন দিল্লির দাস। আর মোদী ও দিল্লির হিন্দুরা অন্ধভাবে শেখ হাসিনাকে সমর্থন দিয়েছে। অথচ পশ্চিমবঙ্গের মমতার সমর্থন পেয়েছে বাংলার জনগণ।

উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই ধরনের হামলা আমি সমর্থন করি না। তবে হামলার শিকার হয়ে তাদের পাপ মোচন হয়েছে। কারণ, এখানেই ভোট লুটপাট থেকে শুরু করে সব অত্যাচার, অবিচার ও অন্যায়ের নীলনকশা করা হয়েছে। তবে এখন থেকে কোনো ধরনের হামলা করা যাবে না। হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে যেন কোনো হামলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এগুলো হলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদেশ হিন্দু, মুসলমানসহ সব সম্প্রদায়ের। এখানে সবাই সমান সুযোগ-সুবিধা নিয়ে শান্তিতে বাস করবে।

গত ১৫ বছর আমাকে আমার এলাকায় রাজনীতি করতে দেয়া হয়নি বলেও তিনি জনগণের কাছে অভিযোগ করেন।

ইটনা উপজেলা বিএনপির সভাপতি এসএম কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান ঠাকুর স্বপনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ফজলুর রহমানের স্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী উম্মে কুলসুম রেখা, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. মনির উদ্দিন, সহ-সভাপতি সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সোহাগ ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুল হান্নান, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম জুয়েল ও ধনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ভোজন কান্তি দাসসহ প্রমুখ বক্তব্য দেন।