ভৈরব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মাদক, চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি প্রতিরোধে অভিযুক্ত ডাকাত মেরাজ মিয়া ও তার বোন তানিয়ার অন্যায় অত্যাচার থেকে পরিত্রান পেতে স্থানীয় এলাকাবাসী সংবাদ সন্মেলন করেছেন।
আজ শনিবার বেলা ১১টায় ভৈরব প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, মেরাজ মিয়া একজন চিহ্নিত ডাকাত ও তার বোন তানিয়া মাদক কারবারের সাথে জড়িত। তাদের অত্যাচার, নিপীরণ, মিথ্যা মামলায় প্রতিনিয়ত হয়রানীর শিকার হচ্ছে নিরীহ এলাকাবাসী। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা ভুক্তভোগীরা।
ওই সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভৈরব উপজেলার শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ শাহ আলম প্রধান, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আল বাকের ঝলক, ইউনিয়ন যুবদলের সহ-সভাপতি মোঃ জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সালাউদ্দিন, সমাজ সেবক মতিন সরকার, জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।
এসময় শিবপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শাহ আলম প্রধান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলার জামালপুর গ্রামের কুখ্যাত ডাকাত মেরাজ মিয়া আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য। তার বোন তানিয়া বেগম একজন মাদক ব্যবসায়ী। ডাকাত মেরাজ মিয়া তার দলবলসহ প্রতিরাতে সড়কে ডাকাতি করে। তার উৎপাতে এলাকার লোকজন রাতে সড়ক দিয়ে নিরাপদে চলাচল করতে পারেনা। তার বোন তানিয়া এলাকায় মাদক বিক্রি করে কিশোর যুবকের জীবন ধ্বংস করছে।
তার অভিযোগ বেশকিছু ঘটনায় ভুক্তভোগীরা থানায় অভিযোগ দিতে চাইলেও পুলিশ মামলা গ্রহন করেনা। সে বাঁশগাড়ি সড়কে দরি ও বাঁশ ফেলে একাধিক মটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। কেউ তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বা প্রতিরোধ করতে গেলে মেরাজ মিয়া ও তার দলবল এলাকার লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেয়। গত কয়েকদিন আগে একটি পিকআপ ভ্যানে ভর্তি ৩ হাজার হাঁস ডাকাতি করলে পুলিশ মেরাজ মিয়াকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠায়। এখন সে কারাগারে থাকলেও আদালত থেকে জামিনে বের হয়ে আবারও অপরাধে জড়িয়ে এলাকাকে অস্থিতিশীল করে তুলবে।
অটোচালক ইকবাল অভিযোগ করে বলেন, গত ২১ জুন মেরাজ মিয়া তার অটোরিক্সা ছিনতাই করে নিয়ে উল্টো তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করে। শফিক নামের এক যুবক অভিযোগ করেন গত ৫ জুলাই মেরাজ রাতের বেলা তার মটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এলাকার যুবক রুবেল অভিযোগ করেন গত ৬ মাস আগে তার মটরসাইকেল ছিনতাই করে মেরাজ ডাকাত। আরেক যুবক হোসেন মিয়া একই অভিযোগ করে বলেন গত ২৬ জুন রাতে তার মটরসাইকেল ডাকাতি করে নিয়ে যায়।
এসব ঘটনার প্রতিবাদ করলে মেরাজ তার বোনকে দিয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা করার হুমকি প্রদান করে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেয় মেরাজ। এলাকার মেম্বার চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েও তারা প্রতিকার পাচ্ছেনা।
ডাকাত মেরাজের আপন চাচা জিল্লুর রহমান বলেন, মেরাজের অত্যাচার, নিপীরণে তিনি অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন। পুলিশের কাছে অভিযোগ দিয়েও তিনি প্রতিকার পাচ্ছেননা বলে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সংবাদ সন্মেলনে।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত প্রায় অর্ধশত লোক অভিযোগ করে ডাকাত মেরাজ ও তার বোনের হাত থেকে বাঁচতে চেয়েছেন। এসময় তারা স্থানীয় সাংবাদিকসহ পুলিশের সহযোগীতা কামনা করেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।