এম.আর রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে শিক্ষক লাঞ্চিতের মামলায় অভিযুক্ত আজিম রানাকে গ্রেফতারে বাধা দেয়ায় অভিযুক্তের বড়ভাই লাল বাদশাকে আটক করে যৌথ বাহিনী।
গতকাল রোববার রাত ১১টায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে উপজেলার মানিকদী বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করেন। পরে তাকে ৫৪ ধারায় কিশোরগঞ্জ জেল হাজতে পাঠায় পুলিশ।
সেনাবাহিনী সূত্র জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে মানিকদী চৌমুড়ী বাজারে আসামি আজিম রানাকে ধরতে গেলে তারই সহদোর বড়ভাই লাল বাদশা সরকারি কাজে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বাধা দিয়ে আজিম রানাকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন। এঘটনায় যৌথ বাহিনী লাল বাদশাকে আটক করে থানায় হ্যান্ডওভার করেন।
পরে আজ সোমবার দুপুরে লাল বাদশাকে আদালতে প্রেরণ করে ভৈরব থানা পুলিশ। সূত্র জানায়, আজিম রানা ও মাসুদ রানার মতো তার ভাই লাল বাদশাও মাদক সেবন ও বিক্রিসহ এলাকায় বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত রয়েছে। মাসুদ রানাকে কিছুদিন আগে ডাকাতি মামলায় চালান দিয়েছে পুলিশ। তাদের তিন ভাইয়ের অত্যাচারে গ্রামবাসী লোকজন অতিষ্ঠ।
শিক্ষক লাঞ্চিতের ঘটনায় মামলা হওয়ার পর র্যাব সদস্যরা আজিম রানাকে ধরতে গেলে তার দলবল ও মহিলারা এসে র্যাব সদস্যদের কামড়িয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ঘটনায় এলাকাবাসী একটি মানববন্ধনে নিন্দা জ্ঞাপন করে তাকে দ্রূত গ্রেফতারের দাবি জানান।
এসব ঘটনায় পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজিম রানাকে ধরতে না পারলেও তার ভাই লাল বাদশাকে গ্রেফতার করায় এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন সেনাবাহিনী।
ভৈরবের বিভিন্ন অপরাধ নির্মূলে ছিনতাইকারী, চোর-ডাকতসহ দখলবাজ ও লুটতরাজের গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি দাবি জানান সাধারণ মানুষজন।
এবিষয়ে ভৈরব থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই এহসানুল কবির বলেন, লাল বাদশাকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক করার পর ৫৪ ধারার তাকে চালান দেয়া হয়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।