হাওরাঞ্চল প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টা ২১ মিনিটে তিনি সেনানিবাস উদ্বোধন করেন।এ সময় নবনির্মিত সেনানিবাস এলাকায় একটি গাছের চারা রোপন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে পতাকা উত্তোলন করে মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকা থেকে তিনি ঘোড়াউত্রা নদীর তীরে ২৭৫ একর জায়গায় নবনির্মিত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের অস্থায়ী হেলিপ্যাডে মিঠামইনে পৌঁছান তিনি।
এরপর মিঠামইন নবনির্মিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পরে দুপুরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের আমন্ত্রণে তার পৈত্রিক বাড়িতে যান প্রধানমন্ত্রী। সেখানে জোহরের নামাজ শেষে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী ও তার সফর সঙ্গীরা।
দুপুর ৩টায় মিঠামইন সদরের হেলিপ্যাড মাঠে আয়োজিত সুধী সমাবেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রী হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার উদ্দেশে মিঠামইন ছেড়ে যাবেন।
হাওরে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে হাওরের প্রতিটি প্রবেশপথ ও পয়েন্ট। সাজানো হয়েছে সরকারের হাওরে বিভিন্ন উন্নয়নসহ দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্রের ছবির মাধ্যমে। সর্বত্র শোভা পাচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত সরকারে উন্নয়ন চিত্রের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। প্রধানমন্ত্রীর আগমন ও জনসভাকে কেন্দ্র করে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে হাওর জনপদে।
প্রসঙ্গত, বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবার মিঠামইন সফর করেন। তখন মো. আবদুল হামিদ কিশোরগঞ্জ-৪ (ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম) আসনের সংসদ সদস্য ও ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী মিঠামইন সফরে এসেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এর আমন্ত্রণে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।