বিশেষ প্রতিনিধিঃ

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্টপতি মোঃ আবদুল হামিদ নিজ জেলা কিশোরগঞ্জে ৩ দিনের সফরের আজ ২য় দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) বিকালে ইটনায় এক সুধী সমাবেশে বলেন, ১৯৬৯ সাল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে অদ্যবদী পর্যন্ত এক আদর্শ নিয়েই আছি। তিনি ভাটি এলাকার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, হাওরের মানুষ আমাকে বার বার নির্বাচিত করেছে বলেই আমি আজকে দুই মেয়াদের রাষ্ট্রপতি।

আমি দুইবারে ১০ বছর ৪০ দিন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছি যা এর আগে কেউ ছিলোনা, যার মেয়াদ চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলমান থাকবে। আমার রাজনীতি ছিলো কিভাবে অবহেলিত হাওরের মানুষের উন্নয়ন করা যায়।

তিনি বলেন, হাওরের উন্নয়ন নিয়ে উন্নয়ন সংশ্লিষ্টদের সাথে আমার অনেক বেগ পেতে হয়েছে, তারা বলতো হাওরে পানির নিছে রাস্তা টিকবে না, হাওরের সাবমার্জিবল রাস্তার কথা যখন আমি বলতাম, তা শুনে প্রকৌশলীরা হাসাহাসি করতো। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাওরে আর মাটির রাস্তা হবেনা। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বলেছি আমার হাওরে আর মাটির রাস্তার দরকার নেই, আমার দরকার উড়ালসড়ক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উড়ালসড়ক প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে।

জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশ্যে রাষ্ট্রপতি বলেন, মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। নির্বাচিত হয়ে কি হয়ে গেছেন মনে করলে ধসে যাবেন। মানুষকে মূল্যায়ন করুন। আমি কোনদিন মানুষকে অবমূল্যায়ন করিনি। মানুষের সাথে আমার সম্পর্ক ছিলো বলেই আমি আজকে এখানে। তিনি উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া চেয়ে তার বক্তব্য শেষ করেন। এবং অষ্টগ্রামে একটি সুধী সমাবেশ অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

উক্ত সুধী সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন কিশোরগঞ্জ -৫ আসনের এমপি এডভোকেট আফজাল হোসেন , কিশোরগঞ্জ -৪ আসনের এমপি প্রকৌশলী রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট জিল্লুর রহমান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদ নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি চৌধুরী কামরুল হাসান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাফিসা আক্তার, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সোহরাব উদ্দিন ঠাকুর (খসরু) রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সচিবগন, ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক, শিক্ষক ও বিভিন্ন পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এর আগে তিনি মিঠামইনে নির্মাণাধীন আবদুল হামিদ ফাউন্ডেশন ভবন এবং ইটনা উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড পরিদর্শন করেন।

মহামান্য রাষ্টপতি নিজ জেলার হাওরাঞ্চল সফর শেষে আগামীকাল শুক্রবার বিকালে ঢাকায় বঙ্গভবনে প্রত্যাবর্তনের উদ্দেশ্যে মিঠামইন ত্যাগ করবেন বলে জানা গেছে।