কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে আহত ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিকসহ আওয়ামী লীগের ১৭৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে ইটনা থানায় মামলা করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ইটনা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোঃ লিয়াকত হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। যাহা ইটনা মামলা নং ০৬।
কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকির রব্বানী মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সদ্য সাবেক এমপি রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক, সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান চৌধুরী কামরুল হাসান, ইটনা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লু মিয়া, এনায়েত কবির, চৌগাংগা উচ্চ বিদ্যালয়ের বহুল আলোচিত সমালোচিত প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমান, আব্দুল হামিদ সরকারি কলেজের প্রভাষক রেহমান মকবুল ও প্রভাষক জসীমউদ্দিন, বরিবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মহিউদ্দিন, ইটনা মহেশ চন্দ্র মডেল সরকারি শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক ছিদ্দিকুর রহমান, ইটনা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের আইসিটি শিক্ষক প্রদীপ কুমার, ধারা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সুব্রত বিকাশ সরকার, থানেশ্বর দাখিল মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার ইউসুফ চৌধুরী, হাতকবিলা মাদ্রাসার সুপার এরশাদ উদ্দীন, আতপাশা আব্দুল গনি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক বাবুল মিয়া প্রমূখ।
মামলার লিখিত এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, গেল আগস্ট মাসের ৫ তারিখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন ও বিএনপি নেতাকর্মীদের একটি বিক্ষোভ মিছিল ইটনা উপজেলা সদরের পুরান বাজার এলাকার আওয়ামী লীগের অফিসে সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় পরিকল্পিত হামলার ঘটনা ঘটায়।
এ সময় সংসদ সদস্য রেজওয়ান আহমেদ তৌফিক ও উপজেলা চেয়ারম্যানসহ দলের অন্য নেতাদের হুকুমে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠিসোটা ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে মিছিলে অংশ গ্রহণকারীদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেলও বিস্ফোরণ ঘটায়। উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিল্লু মিয়ার নেতৃত্বে নেতাকর্মীদের রড আর দা বল্লমের আঘাতে বাদী লিয়াকত হোসেনসহ অনেকই রক্তাক্ত আহত হয়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।