এম.আর রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে ডিবি পরিচয়ে এক সাইপ্রাস প্রবাসীকে ভয় দেখিয়ে ৭০ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে পুলিশের সহকারী উপ পরিদর্শকের (এএসআই) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত এএসআই মুসাব্বির হোসেন অষ্টগ্রাম থানায় কর্মরত।
গত ৩০মে বিকেলে ভৈরব পৌর শহরের চন্ডিবের এলাকায় ওই প্রবাসীকে জিম্মি করে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে ইয়াবা সেবনের কথা বলে ৭০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয় এএসআই মুসাব্বির।
এ ঘটনায় ভৈরব থানার পুলিশ উপ পরিদর্শকের মাধ্যমে ২৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়। বাকি টাকা ফেরত না দেয়ায় ৯ জুলাই মঙ্গলবার কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রবাসী বাচ্চু তালুকদার।
অভিযোগকারী বাচ্চু তালুকদার ভৈরব উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের। সে বর্তমানে শহরের গাছতলাঘাট বসবাস করেন। এ ঘটনায় এএসআই মুসাব্বিরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে বলে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা গেছে।
এর আগে ভৈরব থানায় থাকাকালীন সময় ২২ মার্চ ভৈরবে নারী কেলেংকারীর ঘটনায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে জেলার অষ্টগ্রাম থানায় বদলি করা হয়। এএসআই মুসাব্বিরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগও রয়েছে।
ভূক্তভোগী অভিযোকারী বাচ্চু তালুকদার জানান,গত ৩০ মে বিকেলে ভৈরব শহরের চন্ডিবের এলাকার সালাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার আইচক্রিম ফ্যাক্টরীতে তাকে ডেকে নেন। সে আইচক্রিম ফ্যাক্টরীতে গিয়ে দেখেন এএসআই মোসাব্বির ও শফিক নামের এক ব্যক্তি বসে আছে। সেখানে মোসাব্বিরের দ্বিতীয় স্ত্রী বসে ইয়াবা সেবন করছে। এ সময় ঘটনা দেখে তিনি ভয় পেয়ে জানতে চায় এখানে তাকে কেন ডাকা হলো। তখন এএসআই মোসাব্বির ডিবির পরিচয় দিয়ে তাকে ইয়াবার ব্যবসার অভিযোগ তুলে হ্যান্ডকাপ পড়ায় এবং মোটা অংকের টাকা দাবি করেন। পুলিশের হুমকির পর ভুক্তভোগীর পরিবার এসে বাধ্য হয়ে ৭০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়া পায়।
ঘটনার রাতে ভৈরব থানার এস আই সাইদুল ইসলামকে অভিযোগকারী বাচ্চু তালুকদার এসকল ঘটনা অবহিত করলে তিনি এএসআই মোসাব্বিরকে মোবাইলে ফোন করলে অভিযুক্ত এএসআই ঘটনা স্বীকার করে এবং ২৫ হাজার টাকা ভুক্তভোগীকে ফেরত দেয় এবং বাকী টাকা পরে ফেরত দিবে বলে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ৪০ দিন অতিবাহিত হলেও মোসাব্বির বাকী টাকা ফেরত না দেয়ায় ভুক্তভোগী বাচ্চু তালুকদার এবিষয়ে কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেন।
এঘটনায় এএসআই মুসাব্বির প্রথমে স্বীকার না করলেও পরে ফোন দিয়ে লিখিত অভিযোগ এসপি পেয়েছেন বলে সে বিষয়টি জেনেছেন বলেন এবং ভুক্তভোগীর সাথে সমাধান করবে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান।
এ ঘটনায় কিশোরগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, এঘটনায় তিনি ভুক্তভোগীর একটি লিখিত অভিযোগের পেয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।