সঞ্জিত চন্দ্র শীল,হোসেনপুর প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে চিরকুট লিখে আরিফুল ইসলাম (৩০) নামে স্থানীয় মর্ডান হাসপাতালের এক এমবিবিএস চিকিৎসকের সিলিং ফ্যানে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
গত শনিবার (৫ আগষ্ট) রাত সোয়া ১২টার দিকে উপজেলার ঢেকিয়া এলাকার ভাড়া বাসা থেকে দরজা ভেঙে ডা. আরিফুল ইসলামের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এ সময় রুমে একটি ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’ চিরকুট লিখা পাওয়া গেছে বলে শশুর বাড়ির লোকজন দাবি করেন।
ডা: আরিফুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি হোসেনপুর ফায়ার সার্ভিস সংলগ্ন বেসরকারি মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্মরত ছিলেন।
আরিফুলের পিতা রফিকুল ইসলাম জানান, তার ছেলে ২০২১ সালের ১১ ডিসেম্বর পাকুন্দিয়া উপজেলার চরকাওনা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের মেয়ে ডা. শাহিন সুলতানা মীরাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তারা রাঙামাটিতে কিছুদিন চাকরি করেন। পরে সেখান থেকে ফিরে বছরখানেক আগে স্বামী-স্ত্রী মিলে হোসেনপুর পৌরসভার ঢেকিয়া এলাকায় মডার্ন জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক চালু করেন। তারা ক্লিনিকের পাশে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন।
তিনি আরও জানান, ক্লিনিক চালু করার সময় থেকেই তাদের মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয় এবং স্বামীর বাড়ির লোকজনকে সহ্য করতে পারতেন না ডা. শাহিন সুলতানা মীরা। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়াবিবাদ হতো। শনিবার রাত পৌনে ২ টার দিকে থানা থেকে ফোনে জানানো হয় আমার ছেলে আত্মহত্যা করেছে। তিনি বলেন, তার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারেনা। তাকে মীরা ও তার ভাইয়েরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে বলে অভিযোগ তার। এ বিষয়ে থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।
হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান টিটু জানান, রাত সোয়া ১২টার দিকে দরজা ভেঙ্গে ঝুলন্ত মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে আঘাতের বিশেষ কোন চিহ্ন না থাকলেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কির সময় নখের খামচার দাগ রয়েছে। মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য লাশ কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।