কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর মহাদেবপুরে অপহরণ মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার শিকার হন ছয় পুলিশ সদস্য। এঘটনায় থানা পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করেছে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) তাদেরকে আটক করে বিকেলে নওগাঁ কোর্টে চালান দেয়া হয়। স্থানীয়রা জানান, উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের কুড়াইল গ্রামের বুলন চন্দ্রের ছেলে হিলন চন্দ্রের সাথে বিপ্লব চন্দ্রের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বন্যা রাণীর (১৩) ভাব হয়। এরই জের ধরে গত বুধবার বন্যা হিলনের বাড়িতে গিয়ে ওঠে। বন্যার পিতা এব্যাপারে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করলে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার মাতাজীহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লালন কুমার দাসের নেতৃত্বে এএসআই মাইনুল হোসেন, কনস্টেবল তোয়ারুদ হোসেন, শরিফুল ইসলাম, টুটুল হোসেন ও রুবেল হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে বন্যা রাণীকে উদ্ধার করে নিয়ে আসার সময় স্থানীয়রা পুলিশের উপর হামলা চালিয়ে ভিকটিমকে ছিনিয়ে নেয়। তাদের হামলায় ছয় পুলিশ সদস্যই মারাত্মক আহত হন।
গ্রামবাসীদের হামলা থেকে বাঁচতে পুলিশ সদস্যরা স্থানীয় মসজিদে গিয়ে আশ্রয় নেন। খবর পেয়ে মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল ও মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ রুহুল আমিন ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা করা হয়।
মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন জানান, শুক্রবার এসআই লালন কুমার দাস বাদি হয়ে মহাদেবপুর থানায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো দেড়শ’ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। শনিবার থানা পুলিশ ওইগ্রামের পরেশ চন্দ্রের ছেলে প্রতাপ চন্দ্র (৩৫), সুরেন্দ্রনাথের দুই ছেলে সুচিত্র কুমার (৩০) ও সুপথ চন্দ্র মন্ডল (৪২), সুপথের ছেলে রাম গোপাল চন্দ্র (২৬), সঞ্জিত কুমারের ছেলে বিশু চন্দ্র (২৭), নিবাসের দুই ছেলে সুইট চন্দ্র (৩০) ও সবুজ চন্দ্র (২৫) এবং পরেশের ছেলে রিপন চন্দ্রসহ (৩০) আটজনকে আটক করে।
মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা এসআই আশীষ জানান, ওইগ্রামের প্রতাপ চন্দ্রের নেতৃত্বে গ্রামবাসী পুলিশের উপর হামলা চালায়। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ সাদাপোশাকে ওই গ্রামে গিয়ে টানা হেঁচড়া করে মেয়েকে নিয়ে আসার সময় অতিউৎসাহী হয়ে প্রতাপ চন্দ্রের নেতৃত্বে তারা পুলিশের উপর হামলা চালায়।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।