নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে সাবেক যুব ও ক্রীড়ামন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামি করে ৯৩
জনের বিরুদ্ধে ভৈরব থানায় আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগষ্ট) বিকালে এ মামলাটি দায়ের করেন ভৈরব পৌর শহরের ভৈরবপুর উত্তর পাড়া এলাকার মৃত মতি মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া। তিনি ভৈরব বিএনপির একজন সক্রিয় কর্মী।
এর আগেও পাপনকে প্রধান আসামি করে ১৪০ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। দুটি মামলায় নাজমুল হাসান পাপনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বিকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক পৌর শহরের লক্ষ্মীপুর শহীদুল্লাহ কায়সার পাদুকা মার্কেটের সামনে বৈষম্যেবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের সঙ্গে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের সহিংসতায় আহতের ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
এ ঘটনায় সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনসহ উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি সাখাওয়াত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সেন্টু, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি এসএম বাকী বিল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক আতিক আহমেদ সৌরভ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবদুল হেকিম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক জামাল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমির হামজাসহ ৯৩ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদী রুবেল মিয়া বলেন, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আমিসহ বিএনপির অনেক নেতাকর্মী অবস্থান করছিলাম। ওই সময় সাবেক মন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপনের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে দা, ছুরি, পাইপগান, শটগানসহ বিভিন্ন অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আসামিরা আমাদের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। এ সময় আসামিদের শটগানের গুলিতে সোহেলের চোখে রক্তাক্ত জখম হয়। তাদের রডের আঘাতে ও তাদের ছোড়া গুলিতে আমিসহ আব্দুর রহমান, রাতুল, মুকিত আব্দুল্লাহ ফারুকী, মেহেদী হাসান জিন্নাহ, রাশেদুজ্জামান রাসেল ও রাতুল গুরুত্বর আহত হয়। ঘটনার পরদিন আমি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়। দীর্ঘ ১৭ দিন জেল খেটে আসি। আমি সহিংসতাকারীদের বিচার চাই।
এ বিষয়ে ভৈরব থানা ওসি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, মামলার অভিযোগ হাতে পেয়েছি। দুদিনে দুটি মামলায় নাজমুল হাসান পাপনসহ আসামি ২৩৩ জন। মামলাগুলো যথাযথ তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।