কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর মহাদেবপুরে অটোচার্জার চুরির অভিযোগে আরমান হোসেন সাকিদার (৩৫) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তিনি জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার রায়খালি খাঁপাড়া গ্রামের আমজাদ হোসেন সাকিদারের ছেলে।
শনিবার (৬ এপ্রিল) দুপুরে মদহাদেবপুর থানা পুলিশ উপজেলা সদরের গরুহাটির টোল আদায় ঘর সংলগ্ন একটি গুদামঘর থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে।
স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকালে আরমান হোসেন সাকিদারসহ দুই যুবক একটি মোটর সাইকেল যোগে মহাদেবপুর গরুহাটিতে এসে সেখানে রাখা একটি অটোচার্জারের লক ভাঙ্গার চেষ্টা করে। এসময় জানতে পেরে হাটের লোকেরা তাকে আটক করে বেদম মারপিট করে। পরে তাকে টোল আদায় ঘর সংলগ্ন চকগোবিন্দ গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে জিয়াউর রহমানের আলু ও ঝাল রাখার গুদামে দড়ি দিয়ে হাত বেঁধে আটকে রাখা হয়। পরে ওই ঘরের তীরের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা মরদেহ পাওয়া যায়। অন্যজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
খবর পেয়ে মহাদেবপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জয়ব্রত পাল, মহাদেবপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রুহুল আমিন প্রমুখ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠান। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত আরমানের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ও লক ভাঙ্গা ওই অটোচার্জার জব্দ করে। ওসি জানান, নিহতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১৫টি চুরির মামলা রয়েছে।
বিকেলে নিহতের পিতা থানায় এসে এব্যাপারে অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তিনি জানান, আক্কেলপুর বাজারে তার ছেলের ব্রয়লার মুরগির দোকান রয়েছে। পাওনা টাকা আদায়ের জন্য সে মহাদেবপুর এসেছিল। তিনি অভিযোগ করেন যে, তার ছেলেকে পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে।
জানতে চাইলে, ওই অটোচার্জারের মালিক উপজেলার উত্তরগ্রাম ইউনিয়নের জোতহরি গ্রামের মৃত খিরিশ চন্দ্র পাহানের ছেলে অসিত চন্দ্র পাহান জানান, সকাল ৭টায় তিনি তার অটোচার্জারে করে হলুদ নিয়ে হাটে গিয়েছিলেন। সকাল ৯টার দিকে লোকজন জানায় তার চার্জার চুরি হয়ে যাচ্ছে। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন চোরকে ঘরের ভিতর আটকে রাখা হয়েছে। ওই ঘরের মালিক জিয়াউর রহমানের খোঁজ করে কোথাও পাওয়া যায়নি। হাটের ইজারাদার আরিফুল ইসলাম জানান, তিনি দুপুরের পর হাটে এসেছেন।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।