এম.আর রুবেল, ভৈরব প্রতিনিধি :
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়ি ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, রবিবার (১৫ জানুয়ারি) দিনগত রাতে কুলিয়ারচর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়া, রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজনু মিয়া, বাগপাড়ার বিএনপি কর্মী আতাউর মিয়া ও মোঃ কবির মিয়ার বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এসময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শামীম মিয়ার বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে নগদ ৪ লাখ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায় দূর্বৃত্তরা।
এছাড়াও রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতির স’মিলে ভাংচুর করে করাত কল ও সেলু মেশিন ভাংচুরসহ একটি দোকান ভাংচুর করা হয় এবং বিএনপি নেতা কবির মিয়া ও আতাউর মিয়ার বাড়িতে ভাংচুর করে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতিসাধন করা হয়। এঘটনায় ভুক্তভোগীরা দোর্ষীদের বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
এ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো: শরীফুল আলম তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন।
ভুক্তভোগী শামীম মিয়া জানান, রবিবার রাত সোয়া ২টার দিকে পুলিশের সহযোগিতায় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা তাঁর বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে এবং তার স্ত্রীর গলায় ছুঁরি ধরে আলমারিতে থাকা নগদ ৪লাখ পাঁচ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ওই টাকা গুলো পাশের বাড়ির এক মহিলার জমি বিক্রির টাকা বলে জানান।
এছাড়াও রোববার বিকেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির ময়মনসিংহ বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মো: শরীফুল আলম আসার খবর শুনে তাকে এগিয়ে আনতে গেলে যুবদল নেতা শামীম মিয়া ও বিএনপি নেতা মজনু মিয়াসহ বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা হামলা করে। এসময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে হাতে ও মাথায় রক্তাক্ত জখম হয়।
শামীম মিয়ার স্ত্রী অভিযোগ করেন, রবিবার রাত ২টা ২০মিনিটে পুলিশ ও সন্ত্রাসী বাহিনী দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাংচুর করে এবং তাকে ও তার শ্বাশুরি ও বাচ্চার গলায় ছুরি ধরে আলমারি চাবি নিয়ে নগদ ৪লাখ ৫হাজার টাকা ও স্বর্ণের গলার হার নিয়ে যায়। এছাড়াও পাশের ঘরে গিয়ে আরো দুটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।
রামদী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মজনু মিয়ার ছেলে নয়ন জানান, রামদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নেতৃত্ব রবিবার দিনের বেলায় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর হামলা করলে অনেকই আহত হন। তাছাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতির স’মিল ও দোকান ভাংচুরসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাড়িতে ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ভাংচুর করে।
কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ গোলাম মোস্তফা বলেন এমন ঘটনার কোন খবর পায়নি। এব্যাপারে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।