বিশেষ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিখোঁজের দুদিন পর মিললো মোস্তফা মিয়া (৩০) নামের যুবকের মরদেহ। সে উপজেলার সাদেকপুর পূর্বপাড়ার মৃত মো. রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ।
গত বুধবার সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নরসিংদি জেলার রায়পুরা থানার মাহমুদাবাদ টানপাড়া এলাকা থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
পারিবারিক সুত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে চট্রগ্রাম শহরে একটি জুতা তৈরির কারখানায় কাজ করতেন যুবক মোম্তফা মিয়া। পবিত্র রমজান উপলক্ষ্যে পরিবারের সাথে প্রথম রমজান পালনের জন্য ১১ মার্চ রোববার চট্রগ্রাম থেকে ট্রেনে করে ভৈরবের উদ্দেশ্যে রওনা করেন। কিন্ত সঠিক সময়ে বাড়িতে না ফেরায় যুবকের মুঠোফোনে কল দিলে সেই সময়ে তার মুঠোফোনটি বন্ধ ছিলো। এরপরই পরিবারের স্বজনদের মধ্য সৃষ্টি হয় দুশ্চিন্তা। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করেও কোন সন্ধান মিলেনি।
পরবর্তী বুধবার সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানতে পারে ঢাকা -সিলেট মহাসড়কে পড়ে থাকা এক অজ্ঞাত পরিচয়ে যুবকের পরিচয় সন্ধান করা হচ্ছে। তারপরই স্বজনরা নিহত যুবকের পরিচয় সনাক্ত করেন।
এ বিষয়ে নিহত যুবকের বড় ভাই আল আমিন বলেন, দুদিন আগে আমার ভাই চট্রগ্রাম থেকে বাড়িতে আসছে সেই খবর মোবাইল ফোনে আমাদেরকে জানায়। বাড়িতে আসার সময় পার হয়ে গেলে তার মোবাইলে কল দিলে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। সারাদিন পার হয়ে যখন রাত হয়ে গেলেও বাড়িতে না আসায় আমরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার কোন খোঁজ পাইনি। পরবর্তীতে বুধবার সকালে ফেসবুকে আমার ভাইয়ের মরদেহের ছবি দেখে আমরা তাকে চিনতে পারি। কে বা কারা আমার ভাইকে মেরেছে তার সঠিক তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানান তিনি।
এ বিষয়ে ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.সফিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়েছি পাশ্ববর্তী রায়পুরা থানা এলাকার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখন মরদেহের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে তিনি জানান।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।