নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থেকে ৮ মাসের শিশু নূর মোহাম্মদকে অপহরণের ৩ দিনের মধ্যেই উদ্ধারসহ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে কিশোরগঞ্জ পুলিশ।
আজ বুধবার (১৫ মে) বিকালেন সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার।
অপহরণকারী প্রীতি আক্তার (২৪) গার্মেন্টস কর্মী ও আতিকুল ইসলাম রড মেস্তরী (২৪)। প্রীতি আক্তার কিশোরগঞ্জ জেলার বাজিতপুর উপজেলার দক্ষিণ সরারচর গ্রামের মৃত নজরুল ইসলাম নাজনু মিয়ার মেয়ে। আতিকুল ইসলাম লালমনিরহাট জেলা ও থানার মোস্তাফি বালাপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলীর ছেলে বলে জানায় পুলিশ।
অপরদিকে অপহৃত শিশুর মাতা ও মামলার বাদী লিপি আক্তার শান্তা (৩৫) স্বামী শরিফ মিয়া (৩৮) সাং পিপড়াদী থানা বাজিতপুর জেলাঃ কিশোরগঞ্জ বলে জানান। লিপি আক্তার শান্তা একজন বিউটি পার্লার ব্যবসায়ী।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের পক্ষ থেকে জানায়, গত ১১ মে দুপুর সাড়ে তিনটায় বাজিতপুরের সরারচর বাজারস্থ লিপি বিউটি পার্লারে এসে চিপস কিনে দেয়ার কথা বলে শিশু নূর মোহাম্মদকে নিয়ে অপহরণের উদ্দেশ্যে পালিয়ে যায়। অনেকক্ষণ পরও শিশুকে নিয়ে প্রীতি ফেরত না আসায় আশপাশে খোঁজাখুঁজি করেন। একপর্যায়ে খুঁজে না পেয়ে মা লিপি আক্তার শান্তা বাজিতপুর থানা পুলিশকে জানায়।
বাজিতপুর থানা পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নং-১০ দায়ের করে। ওই মামলার ভিত্তিতে তথ্য প্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও আশপাশের সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ চুলচেরা তল্লাসির ভিত্তিতে মিরপুর শাহ আলীর মাজারে গিয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের সহযোগিতায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজে শিশুটিকে পাগলের কাছ থেকে পূনরায় গ্রেফতারকৃত আতিকুল অপহরণ করে।
পরে পুলিশী তৎপরতায় আতিকুল বাড়ি লালমনিরহাট থেকে অপহৃত শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
৮ মাসের শিশু নূর মোহাম্মদকে উদ্ধার করে তার মা বাবার কাছে বুঝিয়ে দেয় কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ পিপিএম বার। পুলিশ সুপারের কাছ থেকে নিজের শিশুকে কোলে পেয়ে আবেগ আপ্লূত হয়ে যায় পিতামাতা।
এর আগে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রীতি আক্তার (২৪) গার্মেন্টস কর্মী ও আতিকুল ইসলাম রড মেস্তরী (২৪) গ্রেপ্তার করে বাজিতপুর থানা পুলিশ।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।