কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ
কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় হামলা লুটপাট হওয়ার ঘটনায় ১২ থেকে ১৫ হাজার অজ্ঞাত আসামি করে ভৈরব থানার এসআই কামাল বাদী হয়ে ভৈরব থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) রাতে গণমাধ্যমে কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভৈরব থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. সফিকুল ইসলাম।
জানা গেছে, গত (৫ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ওইদিন বিকালে ভৈরব থানা লুটপাট, ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ভৈরব থানা পুলিশ সদস্যরা কোন রকম প্রাণে বেঁচে পালিয়ে যায়। এর আগে সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় থানায় থাকা অধিকাংশ অস্ত্র ও গোলাবারুদ ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে থানায় থাকা বিভিন্ন অস্ত্র, জব্দকৃত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম লুট করে দুর্বৃত্তরা। পরে তারা থানায় থাকা বিভিন্ন গাড়ি ও থানা কার্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বাসস্থান লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়।
এ ঘটনার পরদিন থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সমর্থনকারীরা মাইকিং করে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জামাধী সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীর কাছে হস্থান্তর করেন। পরে গত (৯ আগস্ট) সেনাবাহিনীর সহযোগীতায় ভৈরব পৌর স্টেডিয়ামে থানার অস্থায়ী কার্যালয় উদ্বোধন করা হয়।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আল্টিমেটাম দিলে গত ১৫ আগস্টের মধ্যে সকল পুলিশ থানার অস্থায়ী কার্যালয়ে যোগদান করেন। পরে ১৭ (আগস্ট) অস্ত্রগুলিসহ সকল সরঞ্জাম পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেয় ভৈরব সেনাবাহিনী। বুধবার (২১ আগস্ট) ভৈরব চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির পক্ষ থেকে সহযোগীতায় থানার ওসির হাতে ৩০টি চেয়ার ও ১০টি টেবিল উপহার দিলে থানার ভিতরে সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু করে পুলিশ।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, থানায় আগুন ও লুটের ঘটনায় অজ্ঞাত ১২ থেকে ১৫ হাজার লোককে আসামি করে রাতে একটি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ ভিডিও ফুটেজ দেখে স্বাক্ষী প্রমানের ভিত্তিতে মামলার আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনবে।
সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০২১. © হাওর টাইমস ২৪, এই ওয়েবসাইটের কোনো, লেখা, ইমেইজ, ভিডিও চিত্র, অডিও, অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ যোগ্য।